এবার শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ
Published: 29th, January 2025 GMT
শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্যে বিশ্ববাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করছে ওয়ালটন টিভি। ইতোমধ্যে জার্মানি, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, গ্রিস, স্পেন, ক্রোয়েশিয়াসহ ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নিজস্ব ব্র্যান্ড লোগোতে টিভি রপ্তানি করছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সার্কভুক্ত দেশ শ্রীলঙ্কায় ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করেছে বাংলাদেশের সেরা ব্র্যান্ড ওয়ালটন টিভি।
সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত ‘ইনাগুরেশন সেরেমনি: এক্সপোর্টিং ওয়ালটন টিভি টু শ্রীলঙ্কা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন। আরো উপস্থিত ছিলেন—ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ইউসুফ আলী, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এএমডি লিয়াকত আলী, ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) হাবিব ইফতিখার, ওয়ালটন হাই-টেকের লজিস্টিকস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগের প্রধান শাহীনুর সুলতানা, ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের প্রশাসন বিভাগের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল হাসান, ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার প্রধান আব্দুর রউফ, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর আরমান ইবনে শাহজাহান প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে ওয়ালটনের মুনাফা ৩০৪ কোটি টাকা
দেশজুড়ে চলছে ওয়ালটন এসির ফ্রি সার্ভিস ক্যাম্পেইন
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেকের এএমডি ইউসুফ আলী বলেন, “শ্রীলঙ্কায় ইলেকট্রনিক্স ও অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্যের বিশাল বাজার আছে। এর মধ্যে টেলিভিশনের বাৎসরিক বাজার প্রায় ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। সম্ভাবনাময় এই বাজারে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গত বছরের নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ‘মনিক ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড’কে পরিবেশক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা শ্রীলঙ্কার বাজারে ওয়ালটন টিভিসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও প্রযুক্তিপণ্য বিপণন ও বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে মনিক ট্রেডিংয়ের কাছে ওয়ালটন টিভির প্রথম শিপমেন্ট পাঠানো হয়েছে। আরেকটি শিপমেন্ট পাঠানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন।”
ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার হাবিব ইফতিখার বলেন, “ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিমের প্রকৌশলীরা প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বাধুনিক ফিচার-সমৃদ্ধ এলইডি ও স্মার্ট টিভি তৈরি করছে। উচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করতে অনুসরণ করা হচ্ছে ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড। ফলে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্ধেকেরও বেশি দেশে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার শ্রীলঙ্কায় বাজার সম্প্রসারণ করা হয়েছে।”
তার প্রত্যাশা— বাংলাদেশের মতো শ্রীলঙ্কাতেও ওয়ালটন টিভি অতি দ্রুত শীর্ষস্থান অর্জন করতে সক্ষম হবে।
৩৫টির বেশি দেশে শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস পরিচালনা করা হচ্ছে। ওয়ালটন টিভির রপ্তানি গন্তব্যের তালিকায় শীর্ষে আছে ইউরোপ। টিভি রপ্তানি আয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে।
ঢাকা/সাহেল/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব র য ন ড ব জন স ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?
মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।
কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।
জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)।
১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।
ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া।
অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ।
ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”
ঢাকা/শান্ত