উৎসবমুখর পরিবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের ক্রিকেট ম্যাচ
Published: 19th, October 2025 GMT
কেউ বল হাতে ছুটছেন আবার কেউ ব্যাট হাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চারদিক থেকে ভেসে আসছে দর্শকের উচ্ছ্বাস। তাঁদের কেউ ছবি তুলছেন আবার কেউ হাততালি দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে যেন উৎসবমুখর পরিবেশ।
এত কিছুর উপলক্ষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীদের ক্রিকেট খেলা ঘিরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসংলগ্ন টেনিস কোর্টে আজ রোববার বিকেলে এ খেলার আয়োজন হয়। এতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব মহিলা ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ঈশা রহমানও অংশ নেন। খেলাটির আয়োজন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া সংগঠক ও ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আজহারুল ইসলাম। তিনি চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন।
আয়োজক ও অংশ নেওয়া খেলোয়াড়েরা জানান, খেলায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীর উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে আগে খুব একটা খেলা হয়নি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তেমন আয়োজনও ছিল না। এখন সুযোগ পেয়ে খেলায় অংশ নিয়েছেন। এ কারণে খেলায় অনেক ভুল করেছেন। এরপরও হাসিঠাট্টা আর ছুটে চলায় পুরো খেলাটিতে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। খেলায় চাকসুর সহখেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক তামান্না মাহবুবের দল জয় পায়। খেলাটি ১০ জন করে ২টি দলে হয়।
জানতে চাইলে খেলার আয়োজক আজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই ম্যাচের মূল উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করা। এ ছাড়া ক্রীড়ার মাধ্যমে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও ঐক্য বৃদ্ধি করা। সামনেও আমরা এ ধরনের আয়োজন করব।’
খেলায় অংশ নেওয়া নবনির্বাচিত সহখেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক তামান্না মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুরো আয়োজন অনেক সুন্দর ছিল। ক্যাম্পাসে এ রকম আয়োজন যেন বারবার হয়, এমন চাচ্ছি আমরা। এমনভাবে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টার জন্যই আমাদের কার্যক্রম চলবে।’
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ঈশা রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন আয়োজন ছাত্রীদের জন্য প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা ফোন ব্যবহার করে যেন সময় অপচয় না করে, সে কারণে খেলাধুলায় সম্পৃক্ত রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এত ছাত্রী খেলাধুলা নিয়ে আগ্রহী, তা ভাবিনি। এমন আয়োজনে আসতে পেরে ভালো লাগছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
আড্ডা আর গানে চুয়েটে ‘জয়ধ্বনির’ উৎসবমুখর আয়োজন
মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেউ গাইছেন গান, কেউ গিটারের তারে তুলছেন সুর। দর্শকেরাও সেই সুর মোহিত হয়ে উপভোগ করছেন। কেউ দিচ্ছেন করতালি, কেউবা মুঠোফোনের ফ্ল্যাশ জ্বেলে শিল্পীদের উৎসাহ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে মঞ্চের আলোকসজ্জা তো আছেই।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বাস্কেটবল মাঠে গিয়ে দেখা যায় এ দৃশ্য। উৎসবমুখর এ পরিবেশের আয়োজন করেছিল চুয়েটের সাংস্কৃতিক সংগঠন জয়ধ্বনি। সংগঠনটির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
সংগঠনটির দুই দিনব্যাপী এ উৎসবে দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান সদস্যরাও রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে এ উৎসব শেষ হয়েছে। এ উৎসব ঘিরে মাঠের চারপাশে বসে বিভিন্ন ধরনের স্টল। এতে ছিল নানা পণ্য, খাবার ও শীতের পিঠা।
উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে প্রথম আলো, পৃষ্ঠপোষকতায় ইলেকট্রনিক কোম্পানি ‘হ্যাভিট’, খাদ্যসহায়তায় ‘পাহাড়িকা কিচেন’ আর বেভারেজ সহায়তায় মোজো।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব। এরপর পর্যায়ক্রমে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিল্পীরা। বিরতির পর রাত নয়টায় আবার শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। একে একে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে পরিবেশকদের সম্মাননা দিয়ে প্রথম দিনের উৎসব শেষ হয়।
দুই দিনব্যাপী উৎসবের এ আয়োজন দেখতে ভিড় করেন হাজারো শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার রাতে চুয়েটের বাস্কেটবল মাঠে