গাজীপুরের কালীগঞ্জে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয়ে এক তরুণীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চান্দেরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেপ্তার রাবেয়া বেগমকে (৪৫) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় পুকুর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার 

নারীদের সম্মান ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে জামায়াত: খায়রুল হাসান

গ্রেপ্তার রাবেয়া বেগম কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের ছাদেক ভূঁইয়ার স্ত্রী।

পুলিশ জানিয়েছে, তিনি সরাসরি অপহরণ চেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তারের (১৯) পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার সকালে ছয়জন ব্যক্তি নিজেদের সিআইডি সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা সুমাইয়াকে জোরপূর্বক একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে।

রবিবার সকালে সুমাইয়ার মা মাকসুদা আক্তার বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা (নং: ২৭) দায়ের করেন। মামলায় দুই নারীসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আলাউদ্দিন বলেন, “ঘটনার পরপরই আমরা দ্রুত অভিযান পরিচালনা করেছি। তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।”

ঢাকা/রফিক/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণ

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিত্তশালী’ ভেবে অপহরণ, এরপর যা হলো

চট্টগ্রামে সড়কে গাড়ির গতিরোধ করে ‘বিত্তশালী’ ভেবে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর দাবি করা হয় সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ। কিন্তু যাঁকে অপহরণ করা হয়েছে তাঁর দাবি, তিনি পেশায় দিনমজুর। মুক্তিপণের টাকা দিতে পারছিলেন না। বিষয়টি জানার পর অভিযানে নামে র‍্যাব।

অবশেষে র‍্যাবের অভিযানে ধরা পড়ে দুই অপহরণকারী। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার হাটহাজারীর নজুমিয়া হাট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাঁরা হলেন মো. আজম ও আবু সামা। উদ্ধার করা হয় অপহরণের শিকার দিনমজুর নাজিম উদ্দিনকে। আজ শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানায়।

র‌্যাব–৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ আর এম মোজাফফর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অপহৃতকে অন্যত্র স্থানান্তর করার সময় একটি কারের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনায় জড়িত দুজনকে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

র‌্যাব ও পুলিশ সূত্র জানায়, নোয়াখালীর সেনবাগের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন জীবিকার জন্য নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার মোহাম্মদনগর এলাকায় বসবাস করেন পরিবার নিয়ে। গত রোববার প্রতিদিনের মতো কাজের সন্ধানে বাসা থেকে বেরিয়ে জেলার ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরিফে যান। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় শহরের বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হন। গাড়িতে তিনি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।

হাটহাজারীর সরকার হাট বাজারে পৌঁছালে গ্রেপ্তার আজম ও তাঁর সহযোগীরা গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে অপহরণ করে। এরপর সরকার হাট বাজারের পাশে একটি কক্ষে নিয়ে নির্যাতন করেন। এগুলোর ছবি নাজিমের স্ত্রীর মুঠোফোনে ইমোতে দেন। সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ ঘটনায় নাজিমের স্ত্রী নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

বিষয়টি র‌্যাব জানতে পেরে অপহরণকারীদের খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে গতকাল অপহৃতকে সরকার হাট থেকে নজুমিয়া হাট এলাকা দিয়ে অন্যত্র রাখার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় র‌্যাব হাতেনাতে ধরে ফেলে। আসামিদের হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপহৃত নাজিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অটোরিকশা থেকে তাঁকে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে আমি চিৎকার দিই। তখন অপহরণকারীরা গাড়িচোর বলে আমাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। প্রথমে আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমার পেশা দিনমজুর বলা হলেও তারা বিশ্বাস করেনি। দিনমজুর বলার পর মারধরের পরিমাণও বেড়ে যায়। তারা মনে করেছিল আমি ব্যবসায়ী, টাকাওয়ালা।’

র‌্যাব জানায়, এ ঘটনায় এজাহার মিয়া নামের আরেকজন জড়িত। বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর সহযোগী হিসেবে তিনি পরিচিত। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বিত্তশালী’ ভেবে অপহরণ, এরপর যা হলো
  • টেকনাফে অপহরণ রোধে ব্যবস্থা নিতে সড়ক অবরোধ