খাজা-স্মিথের জোড়া সেঞ্চুরি আর রেকর্ড ছোঁয়ার দিন
Published: 29th, January 2025 GMT
গলে আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি, ২০২৫) থেকে শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার প্রথম টেস্ট। উসমান খাজা ও স্টিভেন স্মিথের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে অজিরা। সেঞ্চুরিতে আজ দুজনেই ছুঁয়েছেন রেকর্ড। তাদের রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান তুলেছে একদিনে।
খাজা ১৩৫ বলে ৮টি চার ও ১ ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন। এটা ছিল তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ষোড়শ সেঞ্চুরি। ২১০ বল খেলে ১০টি চার ও ১ ছক্কায় ১৪৭ রানে অপরাজিত আছেন। এই সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েছেন খাজা। তার আগে স্টিভ ওয়াহ ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৮ বছর ১ মাস ১৭ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
স্মিথ আজ চারে ব্যাট করতে নেমে ১ রান নেওয়ার মধ্য দিয়েই চতুর্থ কোনো অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৮৮ বল খেলে ১০টি চার ও ১ ছক্কায় ১০৪ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।
আরো পড়ুন:
শান্তর নিরাশ আঁধারে আশার আলো দেখালেন মিরাজ
বুড়ো বয়সে সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় খাজা
তাদের আগে ট্র্যাভিস হেড ঝড় তুলে ফিফটি তুলে নেন। মাত্র ৪০ বলে ১০টি চার ও ১ ছক্কায় ৫৭ রান করে প্রবথ জয়সুরিয়ারের শিকারে পরিণত হন। অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল তখন ৯২। ১৩৫ রানের মাথায় ওয়ান ডাউনে নামা ল্যাবুশেন ফেরেন ২ চারে ২০ রান করে। তার উইকেটটি নেন জেফরি বন্দরসে।
সেখান থেকে খাজা ও স্মিথ ৩০৭ বল মোকাবিলা করে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৯৫ রান যোগ করেন দলীয় সংগ্রহে। এ যাত্রায় দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। এরপর অপরাজিত থেকে শেষ করে আসেন দিন।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’