কোনো লুণ্ঠনকারীদের আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না: জামায়াত আমির
Published: 30th, January 2025 GMT
দেশে আর কোনো লুণ্ঠনকারীদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জনগণকে বোকা বানিয়ে রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করেছিল। তারা রাজনীতিকে ব্যবহার করে জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল। বাংলার মাটিতে আর কোনো লুণ্ঠনকারীদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জয়পুরহাট সার্কিট হাউস মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা.
জামায়াত আমির, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কেউ নেই। মন্দির গির্জাসহ অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ে কোনো পাহারাদারের প্রয়োজন নাই।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তরতাজা মানুষকে ধরে এনে পাখির মতো মেরে ফেলেছে। পার্শ্ববর্তী বগুড়ার বাবা-ছেলেসহ তিনজনকে তুলে নিয়ে এসে চোখ অন্ধ করে দিয়েছে। জয়পুরহাটেও শিক্ষার্থী বিশালসহ অনেককেই নির্মমভাবে তারা হত্যা করেছে। প্রত্যেকটি গণহত্যার বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে। যদি দুর্নীতি ও দুঃশাসন না করতো তাহলে দেশ অকল্পনীয় সাফল্য অর্জন করতো। দেশকে কারাগার বানিয়ে ফেলেছিল পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগের পাপের ভার পূর্ণ হওয়ায় তারা সদলবলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা বর্তমান সরকারকে যথেষ্ট পরিমাণ সময় দিতে চাই। অবাধ নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে কেউ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেতে পারেন। আমরা গঠনমূলক নির্বাচন দেখতে চাই।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, আজও আন্দোলন শেষ হয়নি। আমাদেরকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনে এই জেলার দুটি আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে।
কর্মী সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমির ডা. ফজলুর রহমান সাঈদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম খান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মসলিশে শুরা সদস্য ও বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জয়পুরহাট জেলা সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া মন্ডল, সহকারী সেক্রেটারি হাসিবুল আলম, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এস এম রাশেদুল আলম সবুজ, জয়পুরহাট শহর জামায়াতের আমির মাওলানা আনোয়ার হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহীনুর আলম, বগুড়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবদুল হক প্রমুখ। এ সময় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম জ ম য় ত র আম র আওয় ম ল গ ইসল ম র ক ষমত য় সহক র আওয় ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।