দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার চৌধুরী আর নেই
Published: 31st, January 2025 GMT
বাংলাদেশের প্রথম নারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার চৌধুরী আর নেই।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন শামসুন্নাহার চৌধুরী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
শামসুন্নাহার চৌধুরী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। হবিগঞ্জ জেলায় নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
১৯৮৮ সালে চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউপির চেয়ারম্যান চুনু চৌধুরী দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হওয়ার পর আলোচনায় আসেন তার স্ত্রী শামসুন্নাহার চৌধুরী। উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। তার দ্বিতীয় বিয়ে হয় চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহেরের সঙ্গে। এরপর দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শামসুন্নাহার চৌধুরী।
ঢাকা/আজহারুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন
পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান, অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।
গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়।
তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”
নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ইভা