সোনারগাঁয়ে আশিক মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রিমান্ডে
Published: 5th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের কাচঁপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শ্রমিক আশিক মিয়া হত্যার দায়ে সোনারগাঁও থানার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর মহাসিনের আদালতে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিডিওটর পিপি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির জানান, গত ১৪ই আগস্ট নিহত আশিক মিয়ার মা কুলসুম বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানা মামলা করে।
এর আগে গত ৪ই আগস্ট নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ কাচঁপুরে মহাসড়কের সিনহা গার্মেন্টসের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আশিকসহ আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে অবস্থানকালে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সহ অন্যান্য আসামিদের পরামর্শে, প্রত্যক্ষ হুকুমে আন্দোলনকারীদের এলো পাতালী গুলি করা হয়।
ওই গুলিতে আশিকের বুকের মধ্যে গুলি লাগে, ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে গুলিবিদ্ধ আশিক সহ ১৫-২০ জনকে প্রথমে আল বারাকা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। কর্মরত চিকিৎসক খুবই খারাপ অবস্থা দেখলে পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ নেয়ার পর ৮ ই আগস্ট আশিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।
এই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার দেখানো হয়।এই রিমান্ড শেষ হলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী জানান।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনিসুল হককে আদালতে আনা হয়। শুনানি শেষে উৎসক জনতা আনিসুল হক কে চোর এবং ফাঁসি ফাঁসির দাবি স্লোগান দেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র জন ত ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।
প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।
এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।
পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।
অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।
একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।