আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজারে একটি প্রকল্পে অফিসার—সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট পদে শুধু নারী কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: অফিসার—সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা: সাইকোলজি, নৃ–বিজ্ঞান, জেন্ডার স্টাডিজ বা সমাজবিজ্ঞানের অনুষদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। কোনো সংস্থায় এমএইচপিএসএস, জিবিভি, জিবিভি কেস ম্যানেজমেন্ট/সাইকোসোশ্যাল সাপোর্টে অন্তত দুই থেকে তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রশিক্ষণ প্রদানে দক্ষ হতে হবে। হিউম্যানিটারিয়ান প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। আইএসসিজি, জিবিভি এসএস গাইডলাইন ও কেস ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্টের কাজ জানতে হবে।

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

কর্মস্থল: উখিয়া, কক্সবাজার

বেতন: মাসিক মোট বেতন ৭৪,৩৫৬ টাকা। এর সঙ্গে মেডিকেল-সুবিধা, গ্রুপ লাইফ ইনস্যুরেন্স এবং মুঠোফোন ও ইন্টারনেট বিল দেওয়া হবে।

আরও পড়ুননেসকোতে চাকরি, মূল বেতন ১ লাখ ৫ হাজার৪ ঘণ্টা আগেআবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে একশনএইড বাংলাদেশের ওয়েবসাইটের এ লিংকে রেজিস্ট্রার বা লগইন করে আবেদন করতে হবে। নিয়োগ, আবেদনপ্রক্রিয়া ও পদসংশ্লিষ্ট বিস্তারিত তথ্য এই লিংক থেকে জেনে নিতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।

আরও পড়ুনআরপিসিএল-নরিনকোতে চাকরি, মূল বেতন ৯১ হাজারসহ আছে নানা ভাতা২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ