আদমজীনগর এম.ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব
Published: 6th, February 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজীনগর এম.ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মার্চেন্ট ওয়ার্কারস উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উদ্বেগে পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীদের ৪৩টি স্টলের মাধ্যেমে বিভিন্ন রকমারি পিঠা প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।
রকমারি নানা পিঠা নজর কারে বিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিভাবক শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের। শীত কালীন সময় এ পিঠ উৎসবকে গিড়ে এম ডব্লিউ স্কুলের ভিবিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বাহারী রকমের পিঠা প্রর্দশনি করে থাকে।
এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যর সাথে পরিচয় করে দিতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ভিবিন্ন কর্যক্রমে অংশ গ্রহন করে। তারই ধারাবাহীকতায় এ দিন অনুঠিত হয় পিঠা উৎসব।
দেশী বাহারি পিঠার প্রদর্শনের মাধ্যেমে শিশুদের দেশীয় সস্কৃতি সঙ্গে পরিচয়ের করানো হয় বলে জানায় শিক্ষ-শিক্ষিকা। শিক্ষার্থীদের এ মিলন মেলায় বর্তমান শিক্ষার্থীদের হাতে বানানো পিঠা খেয়ে এবং শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে চলে এই পিঠা উৎসব।
এদিন সকাল থেকেই বিদ্যালয়ের মাঠে বিভিন্ন ঐতিহ্যগত নামে বিভিন্ন শ্রেণী ও বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্টলগুলো বাহারি রঙে সেজে উঠে। বর্তমান শিক্ষার্থীরা স্কুল ড্রেস এবং প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা রঙ-বেরঙয়ের জামা-কাপড় পড়ে স্টলে আসতে শুরু করে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নেচে-গেয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে উৎসব আবেগের সৃষ্টি করে।
এসময় বিদ্যালয়ের বাহিরে এবং মাঠ প্রাঙ্গণের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এই মিলন মেলা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, ব্যবসা, মানবিক শাখা এবং বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা গ্রুপ ভিত্তিক আলাদা-আলাদা স্টল স্থাপন করে। স্টলগুলোতে সাজানো হয় শিক্ষার্থীদের হাতে বানানো প্রায় ১০০ ধরনের পিঠা।
অতিথি ও শিক্ষকরা ঘুরে ঘুরে স্টলগুলো পরিদর্শন করেন এবং পিঠা খেয়ে শিক্ষার্থীদের আনন্দিত করেন। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রাকিবুর রহমান সাগর, বিএনপি নেতা সাখাওয়াত মোল্লা, মার্চেন্ট ওয়ার্কারস (এম, ডব্লিউ) উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি মোশারেফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রওশনারাসহ স্কুলের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ এবং সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আলম মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, ফজলু মেম্বার, মনির মল্লিক, শাহাদাত হোসেন, ওবায়দুর রহমান, শাহ আল বেপারী, সেলিম হোসেন দিপু।
সংবাদ সম্মেলনে শাহীন মিয়া বলেন, কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর এদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র যেকোনো অঙ্গ সংগঠনের পদে থাকতে পারে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হিসেবে আমার সংগঠনে যারা চাঁদাবাজ, দখলবাজ স্বৈরাচারের দোসর আমি তাদেরকে বহিষ্কার করেছি।
আওয়ামীলীগের সাথে শাহীনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনাদের ব্যাপারে পাল্টা তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থানার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর, দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে তাকে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ সালে সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়াও বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে নজরুলের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা ছিল না। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম হত্যা মামলার আসামি রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের যোগসাজসে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের একাধিক মৌজার আবাদী জমিতে বালি ভরাট করে সাধারণ কৃষকের দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল।
এছাড়াও অসহায় ও সাধারন মানুষের বসতবাড়ি সহ জবরদখল করে নেয় তারা। নজরুল দোসরদের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করেছিল। এভাবে বিগত ১৭ বছরে স্বৈরাচার সরকারের আস্থাভাজন হয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন এই নজরুল। সে হলো মৌসুমী পাখি।
তিনি বলেন, ১৭ টি বছর জুলুম নির্যাতন সহ্য করে এই নারায়ণগঞ্জে কৃষক দলকে হাতের মুঠোয় রেখেছি আজ সেই কৃষক দলের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করতে এই নজরুল স্বৈরাচারের সাথে হাত মিলিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের মানহানি করেছে।
আমি এরই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার বিরুদ্ধে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি আমার হাইকমান্ডকে অবগত করেছি।
তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সার্জন মোমেনকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দলীয় শৃংখল বঙ্গের দায়ে ১০ই এপ্রিল সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। সে বিগত সতেরো বছর নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। ৫ ই আগস্টের পর ৪০ বিঘা জমির উপর মাছের প্রজেক্ট দখল করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মোমেন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় সে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন তার নিজের জন্য। এখনো সে এলাকায় সাধারণ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে এর যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে এসেছে এবং অনেক সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। যে সমস্ত মানুষ কোন দল করে না দল বুঝেনা। এ সমস্ত অভিযোগের কারণে তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নজরুলসহ কৃষকদলের বেশ কয়েকজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় শাহীনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে টাকার বিনিময়ে পুনর্বাসনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনেন তারা।