ফ্লোরিডায় বাংলা সিনেমার গানে মঞ্চ মাতালেন জায়েদ খান
Published: 9th, February 2025 GMT
অনেক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। সেখান থেকে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত শোয়ে পারফর্ম করছেন।
এ ধারাবাহিকতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় গতকাল রাতে একতারা বসন্ত উৎসবের মঞ্চ মাতান জায়েদ খান। নব্বই দশকের বাংলা সিনেমার গানকে থিম করে আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানটির। জায়েদ খানের পাশাপাশি বাংলাদেশের আরো বেশ কজন তারকা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
জায়েদ খান বলেন, “নব্বই দশকের ঢাকাই সিনেমার গানের সঙ্গে পারফর্ম করেছি। আমার সঙ্গে আমেরিকার বংশোদ্ভূত একঝাঁক মেয়ে ছিল। উন্মুক্ত অনুষ্ঠানে এসে আমার দেশের মানুষের ভালোবাসায় সত্যি অনেক মুগ্ধ হয়েছি।”
আরো পড়ুন:
দুই নায়িকাকে নিয়ে জায়েদ খানের ডিগবাজি (ভিডিও)
অঞ্জনার স্মৃতি ভুলবেন না জায়েদ খান
এদিকে নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’য় যোগ দিয়েছেন জায়েদ খান। সেখানে প্রথমবারের মতো উপস্থাপক হিসেবে দেখা যাবে এই নায়ককে। ঠিকানার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিনোদনমূলক একটি টকশো উপস্থাপনা করবেন, যেখানে শোবিজ ও চলচ্চিত্রের তারকারা উপস্থিত থাকবেন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’