৩২ নম্বরের বাড়ির নিচে পানি ছাড়া আর কিছু পায় নি ফায়ার সার্ভিস
Published: 9th, February 2025 GMT
'আয়নাঘর' বা গোপন বন্দিশালা আছে কী-না এমন সন্দেহে ঢাকার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির বেজমেন্ট থেকে পানি সরানোর পর সেখানে কিছুই পায় নি ফায়ার সার্ভিস। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর জোনের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান।
এর আগে গত পাঁচ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়িটি ভাঙার একদিন পর এই বাড়ির বেজমেন্টে ‘আয়নাঘর’ কিংবা গোপন বন্দিশালা রয়েছে, এ ধরনের কথাবার্তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এসব নানা আলোচনার প্রেক্ষাপটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ওই বাড়ির বেজমেন্টে থাকা পানি সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।
রোববার সকাল দশটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর স্টেশনের টিম সেখানে যায় পানি নিষ্কাশনের কাজে। তারা বাড়িটির বেজমেন্টে জমে থাকা পানি পাম্পের মাধ্যমে সরানোর কাজ শুরু করে।
কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর দুপুর দেড়টায় পুরোপুরি পানি নিষ্কাশনের কাজ শেষ হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ওই ভবনের বেজমেন্টে পানি অপসারণ করে ‘আয়নাঘর’ বা তেমন কিছুর অস্তিত্ব পায় নি ফায়ার সার্ভিস।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পাম্পের মাধ্যমে পানি পাশের লেকে ফেলে পুরোপুরি সেচ করি। তবে সেখানে আমরা কিছু পাইনি। এরপর আমরা সেখান থেকে চলে এসেছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ধ নমন ড
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’