জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তঃ কলেজ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন ও দশটি ইভেন্টের মধ্যে সাতটি ইভেন্টেই বিজয়ী হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ অর্জন করেছে নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার সরকারি তোলারাম কলেজে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কে নারায়ণগঞ্জ কলেজ সরকারি তোলারাম কলেজ কে হারিয়ে জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিতর্কের বিষয় ছিল 'সুশাসন নিশ্চিত করতে জনগণের ভূমিকা মুখ্য'।পক্ষে ছিল নারায়ণগঞ্জ কলেজের অবস্থান।

নারায়ণগঞ্জ কলেজ বিতর্ক দলে সদস্যরা হলেন মৌমিতা আক্তার (দলনেতা), মোঃ ইফতেখার আহমেদ ও মুক্তা রাণী।

জেলা পর্যায়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় দশটি ইভেন্টের মধ্যে ৭টি ইভেন্টেই নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। রবীন্দ্র সংগীতে সূমাইয়া জাহান ছোঁয়া,গণসংগীতে সাদমান সাকিব,লোকগীতিতে উজ্জ্বল রায় পার্থ, আবৃত্তিতে স্বরূপ সেনগুপ্ত, একক অভিনয়ে সোহাগ গাজী,নৃত্যে পুষ্পিতা-সাহা,সৃজনশীল দলীয় নৃত্যে পুষ্পিতা সাহা ও তার দল বিজয়ী হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছে। 

উল্লেখ্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত আনতে কলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়ও  নারায়ণগঞ্জ কলেজের ছেলেরা ফুটবল ও ক্রিকেটে এবং মেয়েরা ভলিবল,হ্যান্ডবল ও ফুটবলে জেলা ও জোন পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়েছে।

অ্যাথলেটিক্সে নারায়ণগঞ্জ কলেজের মেয়েরা চারটি ইভেন্টে জেলা ও জোন পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে বিভাগীয় পর্যায়ে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

এই প্রথম ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়  নারায়ণগঞ্জ জেলার কোন কলেজ এতগুলো ইভেন্টে জোন চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ পর য য

এছাড়াও পড়ুন:

গোদাগাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলায় নারীসহ ৬ জন আহত

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে একটি পরিবার। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন। এছাড়া তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর করা হয়েছে। ধানের পালায় অগ্নিসংযোগ এবং খেতের পেয়ারা বাগান কেটে দেয়া হয়েছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের পানিপার গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার (১১ জুন) প্রথমে পেয়ারা বাগানের ৪১টি গাছ কেটে ফেলা হয়। এরপর দিন হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আহত ছয়জন এখন গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

হাসপাতালে ভর্তিরা হলেন, চর আষাড়িয়াদহ পানিপার গ্রামের আল্লাম হোসেন, তার ছেলে গোলাম মোস্তফা বাবু, মেয়ে ফাতেমা বেগম, নাতি জিহাদ (১৪), ইয়াকুব আলী এবং তাদের প্রতিবেশী বকুল ওরফে কান্দু। তাদের মধ্যে আল্লামের পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। ফাতেমার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া তাকে শ্লীলতাহানিও করা হয়।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় আসামির ছুরিকাঘাতে ২ পুলিশ আহত

আড়াইহাজারে জামায়াতের পথসভায় বিএনপির হামলা, আহত ৫

আহতরা জানান, দিয়াড় মহব্বতপুর গ্রামের জামিলুর রহমানের কাছ থেকে আল্লাম হোসেনের স্ত্রী ও ছেলে গোলাম মোস্তফা ২০১৬ সালের ১৮ মে  শন্য দশমিক ৪৯৫০ একর ও তার আরেক ছেলে মুরশালীন ইসলাম ২০১৮ সালের ৯ মে শূন্য দশমিক ১১০০ একর জমি কেনেন। এর দলিলও করা হয়। জামিলুর রহমান আরএস রেকর্ডমূলে জমি বিক্রি করেন। পরে বিডিএস রেকর্ডে দলিলের কথা গোপন করে এসব জমি আবার নিজেদের নামে রেকর্ড করা হয়। এরপর থেকে তারা জমিগুলো আবার দখলের চেষ্টা করছিলেন।

তারা আরো জানান, জমি কেনার পর প্রায় পাঁচ বছর আগে সেখানে পেয়ারা বাগান করা হয়। গত ১১ জুন সকালে জামিলুর রহমান ও তার ভাই আদিল হোসেনের নেতৃত্বে তাদের ছেলেরা গিয়ে পেয়ারা বাগানের ৪১টি গাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় আল্লাম হোসেন গ্রামের লোকজনের কাছে নালিশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরদিন জামিলুর রহমান, তার ভাই আদিল হোসেন এবং তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো হাঁসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, বল্লম ও বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আল্লাম হোসেনের বাড়িতে হামলা চালান। বাড়িটিতে ভাঙচুর করা হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় ধানের পালায়। দুই দিনের হামলায় প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। 

আহত আল্লাম হোসেন জানান, হামলাকারীরা তার পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। ধানের পালার আগুন নেভাতে গেলে হামলাকারীরা তার নাতি জিহাদকে ধাক্কা দিয়ে আগুনের ভেতর ফেলে দেয়। এতে তার পা পুড়ে যায়। তার আরেক নাতি ইয়াকুবকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। তাদের বাঁচাতে গেলে মেয়ে ফাতেমার গলায় হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করা হয়। তাকে শ্লীলতাহানিও করা হয়। ছেলে গোলাম মোস্তফা বাবুকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে প্রতিবেশী বকুলকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।

ভুক্তভোগী আল্লাম আরো জানান, হামলাকারীরা তাদের আহত অবস্থায় ফেলে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলাকারীরা এখনো তাদের বাড়ি ঘিরে রেখেছেন। জমির দাবি করলে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। তারা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। হাসপাতাল থেকে তাদের ছুটি দেয়া হলে এ ঘটনায় তারা মামলা করবেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত জামিলুর রহমানকে কয়েকদফা ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, ঘটনা তিনি শুনেছেন। আহতরা থানায় অভিযোগ করতে চেয়েছেন। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ