আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো দিন শেখ হাসিনার স্থান হবে না। এ দেশে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) ও শেখ পরিবারের কাউকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।

আজ রোববার বিকেলে শেরপুর শহরের চকবাজার এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। এবি পার্টি শেরপুর জেলা শাখা এ জনসভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মাফিয়ারা বাংলাদেশকে দখল করার ষড়যন্ত্র করে, তবে আবার নতুন করে লড়াই হবে। আমরা সবাই বুক পেতে দিয়ে আবু সাঈদ হয়ে যাব, মুগ্ধ হয়ে যাব, আমরা সবাই রাফিদের মতো রক্ত দিয়ে নতুন করে লাল–সবুজের পতাকাকে স্বাধীন রাখব ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে দুর্নীতি, লুটপাট আর চাঁদাবাজির মাধ্যমে যে অপশাসন কায়েম করেছিল, সে রকম চিন্তা নিয়ে এখন কেউ কেউ চাঁদাবাজি ও নানা ধরনের দুর্নীতি করছেন। তাঁরা ক্ষমতার মসনদে বসার স্বপ্ন দেখছেন। তাঁরা যদি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা না নেন, তাঁদের পরিণতিও ফ্যাসিস্টদের মতোই হবে। ক্ষমতার মসনদে বসার স্বপ্ন তাঁদের কোনো দিন পূরণ হবে না।

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আরও বলেন, এই নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন, বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা কায়েম ও দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য এবি পার্টি লড়াই–সংগ্রাম করে যাবে। এবি পার্টির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার জন্য সবার প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টি শেরপুর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী। এতে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক ছানোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহপ্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ রাসেল, ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক শাহজাহান মল্লিক, জামালপুর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ খালেক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ