যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শত শত কোটি ডলারের জালিয়াতি প্রকাশে সহায়তা করবেন ইলন মাস্ক : ট্রাম্প
Published: 10th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় রোববার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর ‘শত শত কোটি ডলার জালিয়াতি’ খুঁজে বের করতে সহায়তা করবেন ইলন মাস্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারটি কিছু অংশ রোববার প্রচারিত হয়েছে। বাকি অংশ দেশটির জাতীয় ফুটবল লীগের চূড়ান্ত ম্যাচ বা সুপার বোল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আগে স্থানীয় সময় সোমবার সম্প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুনতারা আমাদের সন্তানদের যন্ত্রণা দিচ্ছে: ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী তল্লাশি নিয়ে সতর্ক যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সম্প্রচারিত অংশে ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ চায় ‘আমি অপচয় খুঁজে বের করি’। ইলন মাস্কের সরকারি ব্যয় কমানোর উদ্যোগ অপ্রয়োজনীয় ব্যয় নির্মূল করতে ‘দুর্দান্তভাবে সহায়তা করছে’।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা শত শত কোটি ডলারের জালিয়াতি ও অপব্যবহার খুঁজে বের করতে যাচ্ছি। আপনারা জানেন, এ জন্যই জনগণ আমাকে নির্বাচিত করেছেন।’
আরও পড়ুনইউএসএআইডির কর্মীদের ছুটিতে পাঠানোর ট্রাম্পের পরিকল্পনা স্থগিত করলেন মার্কিন বিচারক০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫তিন সপ্তাহ আগে ক্ষমতা গ্রহণকারী ট্রাম্প কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে এরই মধ্যে অনেকগুলো নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। সরকারের ব্যয় কমানোর দায়িত্ব দিয়েছেন মহাশূন্য-বিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি স্পেসএক্স ও বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ককে। তাঁকে করা হয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) বা সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান। ডিওজিইর প্রধান হওয়ায় দেশটির লাখো নাগরিকের ব্যক্তিগত ও আর্থিক খাতের ডেটা মাস্কের হাতে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প যেসব প্রকল্প বন্ধ করতে চাইছেন, সেগুলোর মধ্য থেকে বেশ কিছুর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ট্রাম্প মনে করেন, প্রকল্পগুলো বন্ধ বা সংকুচিত করা উচিত। কিন্তু বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক জালিয়াতির বিষয়েও এখন পর্যন্ত প্রমাণ দিতে পারেননি ট্রাম্প।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব