নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের কফি ও কাজুবাদাম
Published: 10th, February 2025 GMT
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের কফি ও কাজুবাদাম বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বলে জানিয়েছেন।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষি খাতে কাজু বাদাম ও কফি বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডিং হিসাবে বাজারজাতকরণের পাশাপাশি এখানকার ফলমূল ও শাকসবজি ড্রাই মেশিনের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত করতে হবে। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় হটিকালচার গড়ে তুলুন।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বাঁশ এর চাষ বাড়াতে হবে। এছাড়া মানুষের আকর্ষণীয় পানীয় হিসাবে রোজেলা চা-এর ব্যবহারও বাড়াতে হবে।”
তিনি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষাকে আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলা হবে। এজন্য বিজ্ঞান, গণিত, পদার্থবিদায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।”
এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রিজাউল করিম, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব) শুভাশিস চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিতর্কিত তিন নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
ইউনূস-তারেক বৈঠক
রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন হতে পারে: যৌথ বিবৃতি
বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, “বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।”
বৈঠকে লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, “লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।”
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।”
ঢাকা/হাসান/মাসুদ