পঞ্চমবারের মত অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’ (বিআইএফএফ)। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় জাঁকজমক আয়োজনের মধ্যদিয়ে মধুবন সিনেপ্লেক্স ও জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে এ আয়োজন।

পুণ্ড্রনগর চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এবারের উৎসবে ৭টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচনের জুরি হিসেবে থাকছেন দেশ ও বিদেশের স্বনামধন্য দশজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী, লেখক, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র প্রকৌশলী।

আয়োজকদের তথ্যমতে, এবারের আয়োজনে দেশীয় জুরিদের মধ্যে রয়েছেন চলচ্চিত্র সাউন্ড ডিজাইনার নাহিদ মাসুদ, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম, গীতিকার সমালোচক ও সাংবাদিক মাহমুদ মানজুর, স্ক্রিপ্ট রাইটার ও সাংবাদিক অপূর্ণ রুবেল, লেখক-সাংবাদিক অনিন্দ্য মামুন, চলচ্চিত্র নির্মাতা শায়লা রহমান তিথি।

বিদেশি জুরিদের মধ্যে রয়েছেন মিশর থেকে চলচ্চিত্র নির্মাতা মারওয়া ইলসাকুরি, ভারত থেকে নির্মাতা রাকেশ আন্দানিয়া ও অমল ভাগাত। ইতোমধ্যে অনলাইনে ছবি দেখে জুরিদের বিচারকার্য শুরু হয়েছে বলে জানান উৎসব পরিচালক সূপিন বর্মণ।

তিনি জানান, বিশ্বের ৩৩ দেশের মোট ৯৭টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে যা গতবারের আয়োজনের দ্বিগুণ। নির্বাচিত এই চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ৭টি ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হবে ৭ টি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার।

তিনি বলেন, দেশীয় ৭জন জুরির পাশাপাশি বিদেশের বিদেশের আরও ৩ জন জুরি অংশগ্রহণ করছেন এই উৎসবে।

পুণ্ড্রনগর চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি পৌষরাম সরকার ও উৎসব চেয়ারম্যান এম রহমান সাগর জুরিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

এবারের উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন ছাড়াও থাকছে চারটি চলচ্চিত্র বিষয়ক সেমিনার ও মাস্টার ক্লাস। উৎসবে ৬ দেশের ৪৫ জন চলচ্চিত্র নির্মাতা, কলাকুশলী ও চলচ্চিত্রকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন উৎসব কর্তৃপক্ষ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র উৎসব চলচ চ ত র ন র ম ত

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • ৫ আসামিকে বাদ দিতে হলফনামা, বাদী কৃষক দল নেতাকে শোকজ
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’
  • এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো: আনু মুহাম্মদ