সঞ্জয়কে ৭২ কোটি রুপির সম্পত্তি দিতে চেয়েছিলেন যে ভক্ত
Published: 10th, February 2025 GMT
সঞ্জয় দত্তকে নিয়ে অনুরাগীদের উন্মাদনার শেষ নেই। এক অনুরাগী মৃত্যুর আগে তাঁর সম্পত্তি লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতার নামে! নিশা পাতিল নামের ওই নারী ছিলেন সঞ্জয় দত্তের অন্ধভক্ত। তাই নিজের ৭২ কোটি রুপির সম্পত্তি লিখে দিয়ে গেলেন অভিনেতার নামে। অথচ জীবদ্দশায় নিশা নাকি কখনো সঞ্জয়ের সঙ্গে দেখাও করেননি। বরাবরই পর্দায় দেখে এসেছেন অভিনেতাকে। খবর মিড ডের
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি নিয়ে বিস্তর চর্চা হচ্ছে। তবে এটি ২০১৮ সালে ঘটনা। নিশা নামের সেই অনুরাগী ৭২ কোটি রুপির সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দিয়ে গিয়েছেন জেনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সঞ্জয়।
আরও পড়ুনভিসা বাতিলে ক্ষুব্ধ সঞ্জয় দত্ত বললেন, ‘আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে!’০৯ আগস্ট ২০২৪মুম্বাইয়ের বাসিন্দা ৬২ বছরের নিশা পাতিল জটিল অসুখে ভুগছিলেন। মৃত্যুর আগেই তাই নিজের সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্তের নামে। অভিনেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সব টাকা পাঠিয়ে দিতে একাধিকবার ব্যাংকে চিঠি লিখে পাঠিয়েছিলেন নিশা। পুরো বিষয়টি পরে জানতে পেরে স্তম্ভিত হয়ে যান সঞ্জয়।
তবে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি তাঁর নামে অনুরাগী লিখে দিয়ে গেলেও, তা নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখাননি সঞ্জয় নিজে।
সঞ্জয় দত্ত.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু ধর্ষণের ঘটনা চর-থাপ্পড়ে মীমাংসা
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার এক গ্রামে বৃদ্ধের বিরুদ্ধে (৫৮) পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচারে সালিশ বৈঠক করেন গ্রামের মাতবরেরা। সালিশে ওই বৃদ্ধকে চড়-থাপ্পড় মেরে মীমাংসা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
তবে মাতবরেরা বলছেন, ধর্ষণের ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও পরিবারটি তা করেনি।
ভুক্তভোগী শিশু বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সে বেডে খেলা করছে। তার পাশেই বসে আছেন মা-বাবা। তারা শিশুটির এ অবস্থায় ভেঙে পড়েছেন।
ভুক্তভোগীর মা জানান, গত ১১ জুন শিশুটিকে ধর্ষণ করে একই এলাকার বিশা মন্ডল নামের বৃদ্ধ। ঘটনার দিন সকালে ওই শিশুর নানিকে এগিয়ে দিতে বাড়ির বাইরে যান তার মা। এর কিছুক্ষণ পর শিশুটি বিশার বাড়ি থেকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে আসতে দেখে সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, বিশা তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। বিষয়টি গ্রামের মুরুব্বিদের জানালে তারা পরদিন রাতে বাড়িতে সালিশ বসান। সালিশে বিশাকে চর-থাপ্পড় দিয়ে মাতবররা বলেন, সালিশ শেষ। এর পরদিন শুক্রবার ভুক্তভোগী শিশু পেট ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনেরা।
শিশুটির মা বলেন, মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে থানায় যাইনি। মেম্বার ও সমাজ প্রধান বলেছেন, আগে চিকিৎসা করিয়ে আনো, তারপর মামলা করতে পারবা। এখন থানায় মামলা করবো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা করতে বসা সালিশে সমাজপ্রধান রহিম মন্ডল ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিউর রহমান লিটন উপস্থিত ছিলেন। সালিশে অভিযুক্ত বৃদ্ধকে চর-থাপ্পড় মেরে মীমাংসা করা হয়ে। সেখানে এলাকার লোকজন ছিলেন।
সালিশে উপস্থিত মতিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা থানায় যায়নি। আর সালিশে চর-থাপ্পড় মেরে মীমাংসা করেছিল অভিযুক্ত বৃদ্ধর ভাই-ভাতিজারা। আমি শুধু উপস্থিত ছিলাম। এভাবে বিচার করা ঠিক হয়নি।
ধর্ষণের মতো ঘটনার বিচার সালিশ বৈঠকে করা যায় কি-না জানতে চাইলে রহিম মন্ডল বলেন, আমি ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা করতে বলেছিলাম। কিন্তু তা করেনি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হোসেন ইমাম বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তার চিকিৎসা চলছে। এখন ভালো আছে। তবে মানসিকভাবে একটু দুর্বল।
কুষ্টিয়ার ইবি থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, মামলা করার জন্য শিশুটির পরিবারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বৃদ্ধকে আটকে কাজ করছে পুলিশ।