সঞ্জয় দত্তকে নিয়ে অনুরাগীদের উন্মাদনার শেষ নেই। এক অনুরাগী মৃত্যুর আগে তাঁর সম্পত্তি লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতার নামে! নিশা পাতিল নামের ওই নারী ছিলেন সঞ্জয় দত্তের অন্ধভক্ত। তাই নিজের ৭২ কোটি রুপির সম্পত্তি লিখে দিয়ে গেলেন অভিনেতার নামে। অথচ জীবদ্দশায় নিশা নাকি কখনো সঞ্জয়ের সঙ্গে দেখাও করেননি। বরাবরই পর্দায় দেখে এসেছেন অভিনেতাকে। খবর মিড ডের

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি নিয়ে বিস্তর চর্চা হচ্ছে। তবে এটি ২০১৮ সালে ঘটনা। নিশা নামের সেই অনুরাগী ৭২ কোটি রুপির সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দিয়ে গিয়েছেন জেনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সঞ্জয়।

আরও পড়ুনভিসা বাতিলে ক্ষুব্ধ সঞ্জয় দত্ত বললেন, ‘আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে!’০৯ আগস্ট ২০২৪

মুম্বাইয়ের বাসিন্দা ৬২ বছরের নিশা পাতিল জটিল অসুখে ভুগছিলেন। মৃত্যুর আগেই তাই নিজের সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্তের নামে। অভিনেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সব টাকা পাঠিয়ে দিতে একাধিকবার ব্যাংকে চিঠি লিখে পাঠিয়েছিলেন নিশা। পুরো বিষয়টি পরে জানতে পেরে স্তম্ভিত হয়ে যান সঞ্জয়।

তবে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি তাঁর নামে অনুরাগী লিখে দিয়ে গেলেও, তা নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখাননি সঞ্জয় নিজে।

সঞ্জয় দত্ত.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমরা গর্বিত আমাদের এন্ড্রু কিশোর আছেন: কনকচাঁপা

বাংলা গানের প্রয়াত সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। ২০২০ সালের ৬ জুলাই পরপারে পাড়ি জমান এই কিংবদন্তি শিল্পী। জীবদ্দশায় ১৫ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তার গাওয়া কালজয়ী গানের সংখ্যাও কম নয়। 

প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরের সহশিল্পী ছিলেন শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনক চাঁপা। জুটি বেঁধে তারা বহু গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এন্ড্রু কিশোরের জন্মদিন। এ উপলক্ষে প্রিয় শিল্পী, প্রিয় সহকর্মীকে স্মরণ করেছেন কনকচাঁপা।

আরো পড়ুন:

অস্কার মনোনীত অভিনেত্রী ডায়ান মারা গেছেন

ঋত্বিক ঘটক কীভাবে বিধু বিনোদ চোপড়ার নাম রাখেন?

কনকচাঁপা তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। লেখার শুরুতে এ শিল্পী বলেন, “শুভ জন্মদিন হে তরল সোনা মাখানো কণ্ঠের রাজা এন্ড্রু কিশোর দাদা! আমরা গর্বিত আমাদের এন্ড্রু কিশোর আছেন! আছেন বলছি এজন্য যে, শারীরিকভাবে না থাকলেও তিনি আগের চেয়েও আরো বেশি আপন ও প্রয়োজনীয় হয়ে আছেন।”

খানিকটা ব্যাখ্যা করে কনকচাঁপা বলেন, “একজন এন্ড্রু কিশোর! একটি কণ্ঠ, একটি গলিত সোনার নদী। সিনেমা হলে যখন তার গান বাজে তখন পুরো হল সেই আওয়াজ মেখে মেখে যায়। সে কণ্ঠ ভাসতে, ভাসাতে, কাঁদাতে, রোমান্সে ডুবাতে কোনো ডলবি সারাউন্ডেড সাউন্ড সিস্টেম লাগে না। তিনি যখন গান ‘ডাক দিয়াছে দয়াল আমারে’, তখন সমস্ত শ্রোতার এই দুনিয়ার উপর অভিমান জাতিগতভাবে উপচে পড়ে। আবার এই তিনিই যখন গান ‘তুমি আমার জীবন’ তখন সমস্ত পুরুষ ভাবেন, এভাবেই তো প্রিয়াকে বলতে চেয়েছি আমি!” 

সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কনকচাঁপা বলেন, “কিশোরদার সাথে গেয়েছি চৌত্রিশ বছর। তিনি আজ নেই অথচ এখনো তার কণ্ঠের প্রতি বিস্ময় আমার কাটেই না। মঞ্চে যখন গাই, আমি শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে যাই। বারবার ভাবি, এত সম্মান আমার কপালে ছিল। ও আল্লাহ! কতই তুমি দিলা আমায় বিনা কারণে!”

ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিটির পেছনের গল্প জানিয়ে কনকচাঁপা বলেন, “এই ছবিটি ‘তোমাকে চাই’ সিনেমার গানের রেকর্ডিংয়ের। আমরা গাইছিলাম ‘আমার নাকেরই ফুল বলেরে তুমি যে আমার’ সিম্ফনি স্টুডিওতে।”

এন্ড্রু কিশোরের পাশাপাশি আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে স্মরণ করে কনকচাঁপা বলেন, “আমাদের ‘এন্ড্রু কিশোর-কনকচাঁপা’ নামের জুটি যে মহাশিল্পী নিজের ভালোবাসার তুলিতে এঁকেছেন, সেই জাতশিল্পী, স্বভাবকবি বাংলার সুরের জাদুকর আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ভাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনিও আমাদের মাঝে নেই। তাদের জন্য আমার শ্রদ্ধা অবিরাম।” 

১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন এন্ড্রু কিশোর। সেখানেই কেটেছে তার দুরন্ত শৈশব ও কৈশোর। বেঁচে থাকলে একাত্তর বছরে পা দিতেন এই শিল্পী।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ