প্রযুক্তি-দুনিয়ার নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যাপল ও মাইক্রোসফট অন্যতম। তাই অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ও মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস দুজনই প্রযুক্তি-বিশ্বের দুই বড় তারকা। কিন্তু ব্যবসায়িক নানা প্রতিযোগিতার কারণে এই দুই তারকার মধ্যে সম্পর্ক ছিল বেশ অম্লমধুর। ২০১১ সালে স্টিভ জবসের মৃত্যুর আগপর্যন্ত তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। সম্প্রতি স্টিভ জবসের সঙ্গে নিজের বেশ কিছু স্মৃতি নিয়ে কথা বলেছেন বিল গেটস।

স্টিভ জবসের প্রতিভার প্রশংসা করে বিল গেটস বলেন, ‘সে কোডের একটি লাইনের অর্থ কী, তা জানত না। তার ছিল নকশা, বিপণন আর এই জাতীয় জিনিস সম্পর্কে চিন্তা করার ক্ষমতা। আমি সেই দক্ষতাকে ঈর্ষা করি। আমি তার দলের লোক নই।’ নকশা তৈরি ও পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে স্টিভ জবসের মতো প্রতিভা নিজের নেই জানিয়ে বিল গেটস বলেন, ‘আমি আসলে ভুল ব্যাচের মানুষ। আমি কোডিং ব্যাচের লোক। আর সে বিপণন-নকশা ব্যাচের। যা তার জন্য খুব ভালো।’

আরও পড়ুনবিল গেটস, স্টিভ জবসদের সন্তানেরা কে কোথায়, কী করেন তাঁরা?১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

স্টিভ জবসের সঙ্গে নিজের স্মৃতি রোমন্থন করে বিল গেটস জানান, অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা একবার তাঁকে ইন্দ্রিয় সক্রিয়তার জন্য অ্যাসিড নামের একটি মাদক ব্যবহারের কথা বলেছিলেন। এ মাদক সাধারণত এলএসডি নামে পরিচিত। মাদকটি নিলে বিল গেটস মাইক্রোসফটের জন্য উন্নত পণ্যের নকশা করতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন স্টিভ জবস। হ্যালুসিনোজেনিক ওষুধ গ্রহণের কথাও বলেছিলেন স্টিভ জবস। যদিও বিল গেটস সে পরামর্শ গ্রহণ করেননি।

আরও পড়ুনস্টিভ জবসের জীবনের ৩ বিচ্ছেদের গল্প শুনুন০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

প্রসঙ্গত, স্টিভ জবসের জীবনের ওপর লেখা বইয়েও বিল গেটসকে মাদক গ্রহণের পরামর্শ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই বইয়ের তথ্যমতে, স্টিভ জবস বিল গেটসকে পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন, গেটস আরও বড় হবে, যদি সে একবার অ্যাসিড নেয় বা ছোটবেলায় কোনো আশ্রমে চলে যেত।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুনস্টিভ জবসের সঙ্গে কাজ করে যে ৩টি বিষয় শিখেছেন টিম কুক২৪ অক্টোবর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ল গ টস

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ