স্টিভ জবসের যে দক্ষতাকে এখনো ঈর্ষা করেন বিল গেটস
Published: 10th, February 2025 GMT
প্রযুক্তি-দুনিয়ার নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যাপল ও মাইক্রোসফট অন্যতম। তাই অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ও মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস দুজনই প্রযুক্তি-বিশ্বের দুই বড় তারকা। কিন্তু ব্যবসায়িক নানা প্রতিযোগিতার কারণে এই দুই তারকার মধ্যে সম্পর্ক ছিল বেশ অম্লমধুর। ২০১১ সালে স্টিভ জবসের মৃত্যুর আগপর্যন্ত তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। সম্প্রতি স্টিভ জবসের সঙ্গে নিজের বেশ কিছু স্মৃতি নিয়ে কথা বলেছেন বিল গেটস।
স্টিভ জবসের প্রতিভার প্রশংসা করে বিল গেটস বলেন, ‘সে কোডের একটি লাইনের অর্থ কী, তা জানত না। তার ছিল নকশা, বিপণন আর এই জাতীয় জিনিস সম্পর্কে চিন্তা করার ক্ষমতা। আমি সেই দক্ষতাকে ঈর্ষা করি। আমি তার দলের লোক নই।’ নকশা তৈরি ও পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে স্টিভ জবসের মতো প্রতিভা নিজের নেই জানিয়ে বিল গেটস বলেন, ‘আমি আসলে ভুল ব্যাচের মানুষ। আমি কোডিং ব্যাচের লোক। আর সে বিপণন-নকশা ব্যাচের। যা তার জন্য খুব ভালো।’
আরও পড়ুনবিল গেটস, স্টিভ জবসদের সন্তানেরা কে কোথায়, কী করেন তাঁরা?১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪স্টিভ জবসের সঙ্গে নিজের স্মৃতি রোমন্থন করে বিল গেটস জানান, অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা একবার তাঁকে ইন্দ্রিয় সক্রিয়তার জন্য অ্যাসিড নামের একটি মাদক ব্যবহারের কথা বলেছিলেন। এ মাদক সাধারণত এলএসডি নামে পরিচিত। মাদকটি নিলে বিল গেটস মাইক্রোসফটের জন্য উন্নত পণ্যের নকশা করতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন স্টিভ জবস। হ্যালুসিনোজেনিক ওষুধ গ্রহণের কথাও বলেছিলেন স্টিভ জবস। যদিও বিল গেটস সে পরামর্শ গ্রহণ করেননি।
আরও পড়ুনস্টিভ জবসের জীবনের ৩ বিচ্ছেদের গল্প শুনুন০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪প্রসঙ্গত, স্টিভ জবসের জীবনের ওপর লেখা বইয়েও বিল গেটসকে মাদক গ্রহণের পরামর্শ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই বইয়ের তথ্যমতে, স্টিভ জবস বিল গেটসকে পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন, গেটস আরও বড় হবে, যদি সে একবার অ্যাসিড নেয় বা ছোটবেলায় কোনো আশ্রমে চলে যেত।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুনস্টিভ জবসের সঙ্গে কাজ করে যে ৩টি বিষয় শিখেছেন টিম কুক২৪ অক্টোবর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ল গ টস
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।