লিওনেল মেসিকে ‘গোট’ (G.O.A.T) ভাবার তালিকায় যোগ হলো আরেকটি নাম—প্যাট্রিক মাহোমেস। যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) দল কানসাস সিটি চিফসের কোয়ার্টারব্যাক। গতকাল রাতে লুইজিয়ানার সুপারডোমে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল খেলাধুলার দুনিয়ায় আমেরিকান ফুটবলের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ম্যাচ সুপার বোল। সেখানে অতিথি হিসেবে মেসি উপস্থিত হওয়ার আগেই তাঁকে তাঁর খেলায়, মানে ফুটবলে ‘সর্বকালের সেরা’ হিসেবে ঘোষণা করেন মাহোমেস।

আরও পড়ুন৪৮১ দিন পর একাদশে নেইমার, গোল নেই, ড্রিবলেও জিরো৭ ঘণ্টা আগে

মাহোমেসকে হালকা-পাতলা কেউ ভাবলে ভুল হবে। এনএফএলের ইতিহাসে যে পাঁচজন কোয়ার্টারব্যাক দলের একাদশের হয়ে ন্যূনতম তিনটি সুপার বোল জিতেছেন, মাহোমেস তাঁদের একজন। মেসির ছেলেরাও সম্ভবত তাঁর ভক্ত। ক্রিম রঙের অ্যাডিডাস ব্র্যান্ডের সোয়েটার পরে দুই ছেলে চিরো ও মাতেওকে নিয়ে সুপারডোমে গিয়েছিলেন ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। মাহোমেসের জার্সি ছিল তাঁর ছেলেদের গায়ে। যদি ধরে নেওয়া হয় মেসির ছেলেরা কানসাস সিটির সমর্থক হিসেবে সুপার বোলের ৫৯তম সংস্করণ দেখতে গিয়েছিল, তাহলে বলতে হবে, তাদের মনের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। কানসাসকে ৪০-২২ ব্যবধানে হারিয়ে এ বার্ষিক প্রতিযোগিতাটি জিতেছে ফিলাডেলফিয়া ইগলস।

তবে যে-ই জিতুক, ন্যাশনাল ফুটবল কনফারেন্স (এনএফসি) ও আমেরিকান ফুটবল কনফারেন্সের (এএফসি) দুই চ্যাম্পিয়নের মধ্যে এ ম্যাচ নিয়ে তুমুল আগ্রহ ছিল অন্য খেলার তারকা থেকে বিনোদনজগতের তারকাদের মধ্যে। পপ তারকা টেলর সুইফট থেকে হলিউড কিংবদন্তি স্যামুয়েল এল জ্যাকসন, কেভিন কস্টনার, ব্র্যাডলি কুপার, অ্যান হ্যাথওয়ে, বিটলস কিংবদন্তি পল ম্যাকার্টনিও গিয়েছিলেন সুপার বোল দেখতে। ঢুঁ মেরেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। মেসির সঙ্গে সুপারডোমে ছিলেন তাঁর মায়ামি সতীর্থরা—জর্দি আলবা, লুইস সুয়ারেজ ও সের্হিও বুসকেতস। দক্ষিণ আমেরিকা সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে প্রাক্‌–মৌসুমে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলার আগে অন্য রকম ফুটবল দেখতে গিয়েছিলেন তাঁরা।

আরও পড়ুনরিয়াল-আতলেতিকোর ঘাড়ে বার্সার নিশ্বাস, ধরাছোঁয়ার বাইরে যাচ্ছে বায়ার্ন ৯ ঘণ্টা আগে

মেসি এবারের সুপার বোলে কোন দলের সমর্থন দিয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে গত বছর একটি ফুটবল ম্যাচের আগে কানসাস সিটি তারকা মাহোমেসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মেসি। আর মাহোমেস মেসি সুপার বোল দেখতে যাওয়ার আগেই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলে দিয়েছেন, ‘সে তার খেলার সর্বকালের সেরা (গোট)। এই ম্যাচে তার মতো কাউকে পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার।’

যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) শুরুর আগে মেসিকে নিয়ে বিজ্ঞাপনও করিয়ে নিয়েছে অ্যাপল টিভি। গত রোববার রাতে সুপার বোল শেষে বিজ্ঞাপনটি ছাড়া হয় অ্যাপল টিভির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে দেখা যায়, আমেরিকান ফুটবলের চ্যাপটা বল নিয়ে ‘জাগলিং’ (কসরত) করছেন মেসি। কিছুক্ষণ কসরত করে একটি কিক নেন। তারপর ঘুরে চলে যাওয়ার সময় স্ক্রিনে লেখা ওঠে, ‘ফুটবল (football) শেষ হলে ফুটবল (futbol) শুরু হয়।’

২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এমএলএসের নতুন মৌসুম। সেদিন নিউইয়র্ক সিটি এফসির মুখোমুখি হবে মেসি-আলবাদের দল মায়ামি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম র ক বদন ত ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন। 

তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে। 

কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। 

জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।

জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”

জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।

জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”

ঢাকা/রুমন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান