কত আশা, কত ভরসা নিয়েই না নেইমারকে দলে ভিড়িয়েছিল সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলাল! কিন্তু তাদের সেই প্রত্যাশার সিকি আনাও পূরণ করতে পারলেন কই ব্রাজিলিয়ান তারকা। নেইমারের সৌদি–অধ্যায়ের শুরু ২০২৩ সালের আগস্টে, শেষ হয়েছে এ বছরের জানুয়ারিতে। প্রায় দেড় বছরের অভিযানে আল হিলালকে কিছুই দিতে পারেননি নেইমার।
দেবেনই–বা কী করে, এই দেড় বছরে আল হিলালের হয়ে মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। চোটের কারণে টানা এক বছর মাঠের বাইরে থাকার পর ফিরেই আবার চোটে পড়েন। পরিস্থিতি এমন হয়ে গিয়েছিল যে আল হিলাল নেইমারকে প্রো লিগের স্কোয়াড থেকে বাদ দিতেও বাধ্য হয়।
এমন অবস্থায় নেইমারও আর আল হিলালে থাকতে চাননি, আল হিলালও তাঁকে রাখতে চায়নি। সব মিলিয়ে সমঝোতার ভিত্তিতে সৌদি আরবের ক্লাবটি ছেড়ে নিজের শিকড়ে পাড়ি জমান নেইমার। জানুয়ারির শেষ দিকে নাম লেখান সাবেক ক্লাব সান্তোসে। যেখান থেকে উত্থান হয়েছিল ব্রাজিলিয়ান তারকার।
সান্তোসের হয়ে দ্বিতীয় অধ্যায়ে অভিষেক ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছেন নেইমার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আল হ ল ল
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি