কত আশা, কত ভরসা নিয়েই না নেইমারকে দলে ভিড়িয়েছিল সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলাল! কিন্তু তাদের সেই প্রত্যাশার সিকি আনাও পূরণ করতে পারলেন কই ব্রাজিলিয়ান তারকা। নেইমারের সৌদি–অধ্যায়ের শুরু ২০২৩ সালের আগস্টে, শেষ হয়েছে এ বছরের জানুয়ারিতে। প্রায় দেড় বছরের অভিযানে আল হিলালকে কিছুই দিতে পারেননি নেইমার।
দেবেনই–বা কী করে, এই দেড় বছরে আল হিলালের হয়ে মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। চোটের কারণে টানা এক বছর মাঠের বাইরে থাকার পর ফিরেই আবার চোটে পড়েন। পরিস্থিতি এমন হয়ে গিয়েছিল যে আল হিলাল নেইমারকে প্রো লিগের স্কোয়াড থেকে বাদ দিতেও বাধ্য হয়।
এমন অবস্থায় নেইমারও আর আল হিলালে থাকতে চাননি, আল হিলালও তাঁকে রাখতে চায়নি। সব মিলিয়ে সমঝোতার ভিত্তিতে সৌদি আরবের ক্লাবটি ছেড়ে নিজের শিকড়ে পাড়ি জমান নেইমার। জানুয়ারির শেষ দিকে নাম লেখান সাবেক ক্লাব সান্তোসে। যেখান থেকে উত্থান হয়েছিল ব্রাজিলিয়ান তারকার।
সান্তোসের হয়ে দ্বিতীয় অধ্যায়ে অভিষেক ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছেন নেইমার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আল হ ল ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’