শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের অকল্যাণ হয় এমন কোনো বিষয় সংশোধিত শ্রম আইনে থাকবে না। শ্রমিকপক্ষ, মালিকপক্ষ এবং সরকারি অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের পরামর্শ নিয়ে শ্রম আইন সংশোধনের খসড়া করা হবে। খসড়া চূড়ান্ত করার পর আরও কোনো ত্রুটি দেখা গেলে এ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারের  সাথে সভা করে শ্রম আইন সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত করে চূড়ান্ত করা হবে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শ্রম ভবনের সভাকক্ষে শ্রম আইন সংশোধনে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৮৪তম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, দাপ্তরিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরে একই কর্মস্থলে যারা দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রয়েছেন, তাদের মোট ২১০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বদলি করা হয়। ময়মনসিংহে দেশের ১৪তম শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি হয়রানি বন্ধে আমরা কাজ করছি।

তিনি আরো বলেন, সরকার পক্ষ, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকপক্ষ থেকে শ্রম আইনের বিভিন্ন ধারা ও উপধারা, আইএলও-এর পরামর্শ, শ্রমিকদের বাৎসরিক মজুরি বৃদ্ধি, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, সমুদ্রগামী নাবিক, শ্রমিকদের লেঅফ, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করা হয়। সকল পক্ষের একমতের ভিত্তিতে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে। 

সভায় আইএলও’র প্রতিনিধিরা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

এ ছাড়াও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) সদস্য হিসেবে শ্রমিকপক্ষ, মালিকপক্ষ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিল।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কপক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ