এবার মেয়েকে নিয়ে নৃশংস ষড়যন্ত্র লড়াইয়ের মুখে স্বস্তিকা
Published: 12th, February 2025 GMT
পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুরের হোস্টেলে ছাত্র-নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে নির্মাণ করা হয় ‘বিজয়া’ সিরিজ। সেখানে নির্যাতিত ওই ছাত্রের মায়ের ভূমিকায় লড়াই করতে দেখা গেছে টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জিকে। ফের এক রহস্য-রোমাঞ্চে ভরা নতুন থ্রিলার নিয়ে আসছেন পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। এবারও তাঁর সেই গল্পের মূল সৈনিক স্বস্তিকা। নতুন এই ছবির নাম ‘অশনি’।
সায়ন্তন ঘোষালের এই ছবির গল্পে উঠে আসবে মেয়েকে নিয়ে লড়াই করে বেঁচে থাকা আরও এক মায়ের গল্প। থাকবে বিশ্বাসঘাতকতার কথা। এমনই এক মা হলেন পূর্বা (স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়)। যিনি কিনা অতীত অন্ধকারের সঙ্গে লড়াই করে সবেমাত্র একটু সুখের মুখ দেখেছেন। মেয়েকে সমস্ত অন্ধকারের থেকে আগলে রেখেছেন। সুন্দর একটা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছেন। তবে জীবনের সেই সুখ যেন সহ্য হল না। নৃশংস ষড়যন্ত্র তাঁকে নতুন লড়াইয়ের মুখে ফেলে দেয়। যে অতীত পালিয়ে গেছে বলে মনে করেছিল পূর্বা, সেই আবার ফিরে আসে। পূর্বা কি আদৌ পারবে মেয়েকে নিয়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে?
এই ছবিতে স্বস্তিকার সঙ্গে দেখা যাবে দিতিপ্রিয়া রায়, অনির্বাণ চক্রবর্তী, সত্যম ভট্টাচার্য, গৌরব চক্রবর্তী, শিলাজিৎ মজুমদার এবং আরও অন্যান্য অভিনেতাকে।
‘অশনি’ চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন ড.
পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল জানান, ‘এই ছবির গল্প আমার আগের ছবিগুলোর থেকে একেবারেই আলাদা। আমি আগেও অনেক সাসপেন্স-ভিত্তিক গল্প বলেছি, তবে এধরনের মানুষদের গল্প, তাঁদের সম্পর্ক, জীবন, কষ্ট, আকাঙ্ক্ষার কথা কখনও বলিনি। এই ছবি কোনওরকম রোম্যান্টিকতা, আবরণ ছাড়াই সত্যিকারের পৃথিবীকে তুলে ধরবে। কলকাতাকেও একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যাবে। যে রূঢ় কলকাতার ছবি কখনওই তুলে ধরা হয় না। এখানে মানুষের প্রতিদিনের অদৃশ্য লড়াইয়ের গল্প উঠে আসবে। গোটা গল্পটি একটা অন্য আবেগের দ্বারা পরিচালিত হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’