পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুরের হোস্টেলে ছাত্র-নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে নির্মাণ করা হয় ‘বিজয়া’ সিরিজ। সেখানে নির্যাতিত ওই ছাত্রের মায়ের ভূমিকায় লড়াই করতে দেখা গেছে টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জিকে। ফের এক রহস্য-রোমাঞ্চে ভরা নতুন থ্রিলার নিয়ে আসছেন পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। এবারও তাঁর সেই গল্পের মূল সৈনিক স্বস্তিকা। নতুন এই ছবির নাম ‘অশনি’।

সায়ন্তন ঘোষালের এই ছবির গল্পে উঠে আসবে মেয়েকে নিয়ে লড়াই করে বেঁচে থাকা আরও এক মায়ের গল্প। থাকবে বিশ্বাসঘাতকতার কথা। এমনই এক মা হলেন পূর্বা (স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়)। যিনি কিনা অতীত অন্ধকারের সঙ্গে লড়াই করে সবেমাত্র একটু সুখের মুখ দেখেছেন। মেয়েকে সমস্ত অন্ধকারের থেকে আগলে রেখেছেন। সুন্দর একটা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছেন। তবে জীবনের সেই সুখ যেন সহ্য হল না। নৃশংস ষড়যন্ত্র তাঁকে নতুন লড়াইয়ের মুখে ফেলে দেয়। যে অতীত পালিয়ে গেছে বলে মনে করেছিল পূর্বা, সেই আবার ফিরে আসে। পূর্বা কি আদৌ পারবে মেয়েকে নিয়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে? 

এই ছবিতে স্বস্তিকার সঙ্গে দেখা যাবে দিতিপ্রিয়া রায়, অনির্বাণ চক্রবর্তী, সত্যম ভট্টাচার্য, গৌরব চক্রবর্তী, শিলাজিৎ মজুমদার এবং আরও অন্যান্য অভিনেতাকে।

‘অশনি’ চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন ড.

কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রানা মজুমদার, আবার এই ছবি দিয়েই প্রযোজনায় পা রাখছেন প্রবাসী বাঙালি সব্যসাচী উপাধ্যায়।

পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল জানান, ‘এই ছবির গল্প আমার আগের ছবিগুলোর থেকে একেবারেই আলাদা। আমি আগেও অনেক সাসপেন্স-ভিত্তিক গল্প বলেছি, তবে এধরনের মানুষদের গল্প, তাঁদের সম্পর্ক, জীবন, কষ্ট, আকাঙ্ক্ষার কথা কখনও বলিনি। এই ছবি কোনওরকম রোম্যান্টিকতা, আবরণ ছাড়াই সত্যিকারের পৃথিবীকে তুলে ধরবে। কলকাতাকেও একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যাবে। যে রূঢ় কলকাতার ছবি কখনওই তুলে ধরা হয় না। এখানে মানুষের প্রতিদিনের অদৃশ্য লড়াইয়ের গল্প উঠে আসবে। গোটা গল্পটি একটা অন্য আবেগের দ্বারা পরিচালিত হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ