এক মাস পানি খেয়ে বেঁচে ছিল বিড়ালটি
Published: 13th, February 2025 GMT
জাপানে একটি বিড়ালকে নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। অনেকেই বিড়ালটিকে ‘মিরাকল’ নামে ডাকছে। একটি ফ্ল্যাটে এক মাসের বেশি সময় আটকে থাকার পরও প্রাণীটি বেঁচে ছিল শৌচাগারের পানি আর মালিকের ফেলে যাওয়া সামান্য বাসি খাবার খেয়ে।
অবশ্য এই সময়ে বিড়ালটি অনেকটাই মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। অচেতন অবস্থায় প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয়।
জাপানে প্রাণী অধিকার সুরক্ষায় কাজ করে ‘অ্যানিমেল রেসকিউ টানপোপো’। গত বছরের আগস্টে সংস্থাটির সদস্যরা ওসাকার একটি খালি ফ্ল্যাট থেকে বিড়ালটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেন। ফ্ল্যাটের মেঝেতে খালি মদের ক্যান, আবর্জনা ও বাসি খাবার ছড়িয়ে পড়ে ছিল।
জাপানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, মিরাকল শৌচাগারের পানি আর বাসি খাবার খেয়ে কোনোমতে প্রাণ রক্ষা করেছে।
যে দলটি মিরাকলকে উদ্ধার করেছে, চিয়াকি হোন্ডা ছিলেন তাঁদের নেতা। তিনি বলেন, শৌচাগারের পাশে বিড়ালটিকে পড়ে থাকতে দেখে তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন সেটি জীবিত নেই। কিন্তু যখনই তিনি বুঝতে পারেন প্রাণীটি অচেতন হয়ে পড়ে আছে, দ্রুত সেটিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
হাসপাতালে শুরুতে আক্রমণাত্মক আচরণ করত মিরাকল। সেটি মাথায় ও পায়ে ক্ষতচিহ্ন ছিল।
পুলিশ ৩ ফেব্রুয়ারি মিরাকলের সাবেক মালিককে গ্রেপ্তার করেছে। ২৭ বছরের ওই তরুণী স্বীকার করেছেন, তিনি ফ্ল্যাটের মালিককে কিছু না জানিয়ে গত জুলাই মাসে তাঁর ভাড়া করা ফ্ল্যাটে মিরাকলকে ফেলে গিয়েছিলেন।
ওই নারীর বিরুদ্ধে প্রাণী নির্যাতনের অভিযোগে তদন্ত চলছে। জাপানের প্রাণিকল্যাণ ও ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর এক বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ ইয়েন জরিমানা হতে পারে।
মিরাকলকে দত্তক নিতে অনলাইনে আবেদনের বন্যা বইছে। তবে অ্যানিমেল রেসকিউ টানপোপো নিজেরাই বিড়ালটি রেখে দিতে চায়। কারণ, সেটির হৃদ্যন্ত্র ও কিডনিতে জটিলতা রয়েছে এবং প্রাণীটি শুধু দামি ‘ক্যাট ফুড’ খায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম র কল
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।