“নতজানু হয়ে ছিলাম তখন এখনো যেমন আছি।
মাধুকরী হও নয়নমোহিনী স্বপ্নের কাছাকাছি।
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড কর প্রেমের পদ্যটাই।
বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি শুধু তোমাকেই চাই।”

কলকাতার বরেণ্য সংগীতশিল্পী কবীর সুমনের গাওয়া ‘জাতিস্মর’ গানের অংশ বিশেষ এ কটি চরণ। সুমনের গানের মতো আজ চুমু খাওয়ার দিন। অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসের আগের দিন পালিম হয়ে থাকে ‘কিস ডে’। বিশেষ দিন উপলক্ষে চুমু কাণ্ড নিয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার বিতর্কিত অভিনেত্রী ঋ সেন।

কয়েক দিন আগে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের খোলা রাস্তায় প্রেমিককে চুমু খেয়ে আলোচনার জন্ম দেন ঋ সেন। যদিও সেদিন ‘কিস ডে’ ছিল না! তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না। এ অভিনেত্রীর জানান, ভালোবাসার আবার দিনক্ষণ? বেশ কিছুটা একান্ত সময় কাটিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে আবেগে ভেসেছিলেন। স্থান-কাল ভুলে গলা জড়িয়ে গভীর চুম্বন এঁকে দিয়েছিলেন প্রেমিকের ঠোঁটে!

আরো পড়ুন:

‘মানুষের ধর্মই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা’

‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি

এ ঘটনা দেখে থমকে গিয়েছিল রাস্তার গাড়ি। ঋ সেন বলেন, “আমাদের চারপাশে কোনো ব্যারিকেড ছিল না, কেবল কিছুটা সময় যেন থমকে গিয়েছিল! হুঁশ ফিরে দেখি, আশেপাশের যান চলাচল থমকে আছে। পুলিশ বাঁশি বাজাচ্ছে।” তবে এ ঘটনায় ঋর চেয়ে তার প্রেমিক অধিক লজ্জা পেয়েছিল বলেও জানান এই অভিনেত্রী।

‘গান্ডু’ তারকা ঋ বরাবরই একটু খামখেয়ালি, কিছুটা মেজাজি। বলা যায়, হৃদয়ের ডাকে জীবনযাপন করেন। তার খুব ঘনিষ্ঠ মানেই চুম্বন উপহার। ঋ সেনের ভাষায়— “আমার খুব ভালো বন্ধুদের জড়িয়ে যখন-তখন গালে চুমু খাই। চকাম চকাম শব্দ তুলে। কোনো অস্বস্তি লাগে না।”

ঋ-এর কাছে চুম্বন অনেক রোগের দাওয়াই। তার ভাষায়, “ধরুন, আপনার খুব মনখারাপ। পছন্দের মানুষটিকে জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে চুমু খেলেন। দেখবেন, নিমেষে মন তরতাজা!”

একইভাবে চুমু খান প্রিয় পোষ্য, বাড়ির বাকিদেরও। অর্থাৎ, সম্পর্ক বুঝে চুম্বনের প্রকারভেদে বিশ্বাসী ঋ। তাই চুমুর ধরন পাল্টে যায় ব্যক্তিবিশেষেও। উদাহরণ টেনে ঋ বলেন, “মাস খানেক আগের কথা। অটোতে চড়েছি। খুব বয়স্কা একজন অটোতে উঠবেন। কিন্তু ভাড়া নিয়ে অস্বস্তিতে। সে দিন জোর করে তাকে অটোতে তুলে বলেছিলাম, তোমার ভাড়া আমি দেব। অটো থেকে নামার আগে সেই দিদা আমার গালে, মাথায় চুমু খেয়েছিলেন। মায়ের কথা মনে করে সে দিন খুব কেঁদেছিলাম। আজকের দিনে এমন নিষ্পাপ আদর কোথায়?”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চ ম বন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ