এমবিএল রেইনবো অ্যাপে যুক্ত হল নতুন পরিষেবা
Published: 16th, February 2025 GMT
গ্রাহকদের আরো উন্নত ও ক্যাশলেস ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং প্লাটফর্ম ‘এমবিএল রেইনবো’ অ্যাপে আরো নতুন পরিষেবা যুক্ত হয়েছে। ‘এমবিএল রেইনবো’ অ্যাপ গ্রাহকরা RTGS, NPSB দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এবং BEFTN এর মাধ্যমে অন্য ব্যাংকে তহবিল স্থানান্তর করতে পারবেন।
পাশাপাশি জনপ্রিয় মোবাইল ফাইন্যাসিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও নগদেও তহবিল স্থানান্তর করতে পারবেন। উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন গ্রাহকবান্ধব সেবাগুলো উদ্বোধন উপলক্ষে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসান গ্রাহকদের জন্য নতুন সেবার সমন্বয়ে এমবিএল রেইনবো অ্যাপের সেবাসমূহ উদ্বোধন করেন। ব্যাংকের এমডি বলেন, গ্রাহকরা ঘরে বসেই ‘এমবিএল রেইনবো’ অ্যাপ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এ ছাড়া অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক, মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ডের বিল প্রদান, মোবাইল রিচার্জ, ছজ কোড ব্যবহার করে শাখা থেকে নগদ উত্তোলন, বাংলা QR কোড এর মাধ্যমে ই কমার্স ও কেনাকাটার অর্থ প্রদান, এ-চালানের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি মাশুল যেমন ট্যাক্স, পাসপোর্ট ফি, ইউটিলিটি বিল, বীমার প্রিমিয়াম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি, ভিসা ও এমএফএস থেকে অ্যাড মানিসহ অন্যান্য আরো সেবা এখন থেকে এমবিএল রেইবো অ্যাপে করা যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ মো.
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’