ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অবশ্যই নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে: মাখোঁ
Published: 18th, February 2025 GMT
ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ‘দৃঢ় ও নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত’ করার ওপর জোর দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। আজ মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপের পর এ কথা বলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাখোঁ লিখেছেন, ‘আমরা ইউক্রেনে শক্তপোক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চাই। সেটা অর্জন করতে হলে রাশিয়াকে অবশ্যই তাদের আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে ইউক্রেনীয়দের জন্য অবশ্যই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। তা না হলে মিনস্ক চুক্তির মতো করে এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা থেকে যাবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সংঘাত বন্ধের চেষ্টায় মিনস্ক চুক্তি হয়েছিল।
আজ প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করার পরই মাখোঁ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন–সংক্রান্ত নীতিমালায় পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের ওই বৈঠক হয়।
ইউরোপীয় নেতাদের আশঙ্কা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো দূরের কথা, ইউক্রেনকে বাদ রেখেই ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা করবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে জেলেনস্কি নিজেও মাখোঁর সঙ্গে তাঁর আলাপের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে তাঁকে জানিয়েছেন মাখোঁ।
এক্স পোস্টে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘আমাদের একটি অভিন্ন লক্ষ্য আছে। তা হলো নিরাপত্তাবিষয়ক নিশ্চয়তাগুলো অবশ্যই দৃঢ় ও নির্ভরযোগ্য হতে হবে।’
জেলেনস্কির মতে, এ ধরনের নিশ্চয়তা দেওয়া ছাড়া কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা হবে রাশিয়ার আরেকটি ধোঁকাবাজি। তাঁর আশঙ্কা, এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেন বা ইউরোপের অন্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে রাশিয়ার নতুন যুদ্ধের সূচনা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন ন শ চয়ত ইউর প য়
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’