নির্বাচনে ডিসিদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশ
Published: 18th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনের মধ্যে থেকে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, আগে আইন প্রয়োগে ঘাটতি ছিল। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে চায় ইসি। নির্বাচনে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করবে ইসি। অভিযোগের ভিত্তিতে নয়, নিজ উদ্যোগে যে কোনো ধরনের নির্বাচনকেন্দ্রিক অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দোষারোপ না করে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। অতীত কী হয়েছে সেটা না বলে ভবিষ্যতে কী করবেন সেটা নিয়ে ভাবেন। নির্বাচনের সময় অন্যায়ভাবে কোনো চাপ প্রয়োগ করা হবে না–সেই নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। কোনো চাপ এলে সেটা ইসি সামলাবে।
নাসির আরও বলেন, এখন থেকেই নির্বাচনী প্রচার চালাতে এবং জনগণকে সচেতন করে তুলতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে, নির্বাচন কমিশন এর অংশ হতে চায় না বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
তেহরান থেকে এক কোটি মানুষ কীভাবে সরে যাবে
ইরানের রাজধানী তেহরান ছাড়ার চেষ্টা করছেন অনেক মানুষ। তবে গত কয়েক দিনের মতোই তেহরানের রাস্তাঘাট এখনো যানজটে ঠাসা।
বিবিসি পার্সিয়ানের প্রতিবেদক ঘোনচে হাবিবিয়াজাদ জানান, তিনি এমন একটি পরিবারকে চেনেন, যারা তেহরান থেকে রওনা হয়ে গন্তব্যে পৌঁছেছে ১৪ ঘণ্টা পর। অথচ এই যাত্রাপথ সাধারণত তিন ঘণ্টায় শেষ হওয়ার কথা।
এত সময় লাগলেও শেষ পর্যন্ত তেহরান থেকে বেরিয়ে আসতে পারায় পরিবারটি নিজেদের ‘ভাগ্যবান’ মনে করছে।
পরিবারটির সদস্যদের ভাষায়, ‘ভাগ্যক্রমে’ শেষ পর্যন্ত তাঁরা তেহরান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন।
তেহরানের বাসিন্দাদের আরও অনেকেই এমন কথা বলেছেন। তাঁরা রাজধানী থেকে বেরিয়ে আসতে পেরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। তবে তাঁদের অনেকে আবার উদ্বিগ্ন প্রিয়জনদের নিয়ে, যাঁরা এখনো তেহরান ছাড়তে পারেননি।
বিবিসির এই সাংবাদিক গত রাতে তাঁর এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি তেহরান ছাড়তে পেরেছেন কি না।
জবাবে বন্ধু বলেন, ‘রাস্তা একেবারে আটকে আছে। এখন বেরোলে শুধু যানজটে আটকে থাকতে হবে। আর এই সময়ে তা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’
প্রথমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তেহরানের একটি অংশের বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়তে বলেন। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সবাইকে তেহরান ছেড়ে যেতে হবে।
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যকার নজিরবিহীন সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। উভয় পক্ষ আকাশপথে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলায় ইরানে অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ২৪ জন।
তেহরানে তখন ভোর সাড়ে চারটা বাজে। তবু বহু মানুষ তখনো জেগে ছিলেন।
সাংবাদিক ঘোনচে হাবিবিয়াজাদ যে ইরানি গ্রুপ চ্যাটগুলোতে আছেন, সব কটিই এখন রূপ নিয়েছে রাজনৈতিক আলোচনার জায়গায়। সঙ্গে কোথায় কোথায় হামলা হচ্ছে, তা জানানোর প্ল্যাটফর্মও হয়ে উঠেছে সেগুলো।
একটি চ্যাট গ্রুপে একজন লিখেছেন, ‘আমি একদম বিধ্বস্ত-শরীরেও, মনেও। টানা চার রাত ঘুমাইনি।’
চ্যাট গ্রুপে আরেকজন জিজ্ঞেস করেছেন, ‘তেহরান থেকে এক কোটি মানুষ কীভাবে সরে যেতে পারে?’
এই প্রশ্নের কোনো উত্তর আসেনি।