নাচ থেকে মডেলিং, তারপর অভিনয়ে নাম লেখান জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। এখন পুরোদস্তুর পেশাদার অভিনেত্রী। এ সময়ে যে কজন তরুণ অভিনেত্রী সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় কাটান তাদেরই একজন হিমি।

নিউ মিডিয়ার বদৌলতে হিমির সুখ্যাতি ছড়িয়েছে ওপার বাংলায়ও। পশ্চিমবঙ্গে তার ভক্ত-অনুরাগী রয়েছেন; যারা হিমির অভিনয় ভালোবাসেন। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এ আলাপচারিতায় কলকাতার ভক্ত ও অভিনয় ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি

আরো পড়ুন:

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ৩ নাটক

চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নাবিলাকে কেউ অগ্রাহ্য করতে পারবে না: জয়

কলকাতার দর্শকদের নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে হিমি বলেন, “এটা দারুণ ব্যাপার। আমি দেশে থাকলে বুঝতে পারি না। তবে যতবার কলকাতায় গিয়েছি, বুঝেছি। কলকাতার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা খুব নিবিড়।”

অভিনয় ক্যারিয়ারে একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন হিমি। আর সেটাও কলকাতার। এ তথ্য উল্লেখ করে হিমি বলেন, “হঠাৎ দেখা’ সিনেমায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আমাকে লঞ্চ করেছিলেন। রেশমি মিত্র এর পরিচালক ছিলেন। তারপর আর সেভাবে কাজ করা হয়নি। তবে কলকাতার প্রতি আমার একটা সফট কর্নার আছে।”

দেখতে দেখতে হিমির ক্যারিয়ারের বয়স কম হয়নি। কোন ধরনের চরিত্র বেশি টানা? জবাবে হিমি বলেন, “আমি ভিউজ বা টাকার জন্য অভিনয় করি না। আমি ব্যক্তিগত জীবনে খুব চুপচাপ। তবে নাটকে খুব সপ্রতিভ চরিত্রে অভিনয় করতে হলে অনায়াসে করে ফেলি। আমার নানি একবার আমার পুরো নাটক দেখার পর বলেছিলেন, ‘এটায় তুমি ছিলে না?’ অথচ আমিই সেই নাটকের নায়িকা ছিলাম। আমাকে অত এক্সট্রোভার্ট চরিত্রে চিনতেই পারেননি। এইটুকু করতে পারাই আমার জন্য অনেক।”

সত্তর-আশির দশকের নায়িকাদের উদাহরণ টেনে হিমি বলেন, “সত্তর বা আশির দশকের নায়িকাদের চরিত্রগুলো খুব ভালো লাগে। উনারা চোখ দিয়ে অনেক বেশি অভিনয় করতেন। আমরা এখন তেমন পারি না। পিরিয়ডিক ড্রামা আমার খুব ভালো লাগে।”

জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি

হিমি আপাতত নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “সামনে ঈদ। তাই ঈদ রিলেটেড কয়েকটি কাজ করছি; সেই নাটকগুলোর শুটিং নিয়েই আপাতত ব্যস্ত।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক কলক ত র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ