অভিনয় কমিয়েছেন আগেই। তবে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে কৌতুকধর্মী অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে দেখা যাচ্ছে তাখে। তবে শবনম ফারিয়া চর্চায় থাকেন নানা প্রসঙ্গ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলে। এবারও তার একটি স্ট্যাটাস নিয়ে চলছে  আলোচনা। যে স্ট্যাটাসে ফারিয়া জানিয়েছেন,  প্রেম করা বন্ধ দিয়েছেন যেমনটা তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা দেখাও বন্ধ করে দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। এদিন ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ৪৯.

৪ ওভাবে রান করেছে মাত্র ২২৮। ভারত সেই ম্যাচ জিতে নেয় ৬ উইকেট হাতে রেখে।  

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এমন খেলায় হতাশ এই অভিনেত্রী। শবনম ফারিয়া জানান, বারবার দেখব না ভেবেও বাংলাদেশের খেলা দেখতে বসেন। কষ্টও পান।

ফারিয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রেম করা আর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খেলা দেখা বন্ধ করে দিয়েছি। এই দুইটা কাজ করে জীবনে কষ্ট ছাড়া আর কিছু পাইনি।’ স্ট্যাটাসের শেষে ফারিয়া লিখেছেন, ‘এইটা কোন ফানি স্ট্যাটাস না। এটা অনেক দুঃখের স্ট্যাটাস।’

এমন স্টাটাসের সূত্র ধরে ফারিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমকে অভিনেত্রী বলেন, ‘মজা করে স্ট্যাটাস দিয়েছি। সিরিয়াস কিছু না। খেলা দেখছিলাম, দেখতে দেখতে একটা সময় মনে হলো—এই খেলা আর দেখব না। প্রতিবারই বাংলাদেশ দলের খেলার সময় এমন সিদ্ধান্ত নিই, আর খেলা দেখব না। এরপরও দেখি। বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা থাকলে আবার মন চায় দেখতে। ভাবি, দেখি না কী অবস্থা। ওই আরকি।’ 

শবনম ফারিয়া সর্বশেষ সাজিন আহমেদ বাবু পরিচালিত ‘ভারপ্রাপ্ত বউ’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করেন। এই নাটকে মোশাররফ করিমের বিপরীতে ছিলেন তিনি। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শবনম ফ র য়

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ