সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সিটি গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান এবং ট্রিপল-এ রেটিং পাওয়া সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের তহবিল সংগ্রহের জন্য ১,৫০০ কোটি টাকা ফেস ভ্যালুর তীর ১০০% মর্টগেজ-ব্যাকড জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করতে ব্র্যাক ব্যাংককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদনের সাপেক্ষে এই বন্ড ইস্যু করা হবে।

এই তিন বছর মেয়াদি বন্ড সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং আকর্ষণীয় রিটার্ন প্রদানের জন্য স্ট্রাকচার্ড, যা প্রথমবারের মত ইস্যু করা হচ্ছে। এই বন্ড বাংলাদেশজুড়ে ব্যক্তি ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের জন্য উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে। এই মধ্য-মেয়াদি বন্ড প্রাতিষ্ঠানিক ও রিটেইল বিনিয়োগকারীদের পরিবর্তনশীল ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের মূলধন বাজারের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এই বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের বাণিজ্য কার্যক্রম সম্প্রসারণ, নগদ প্রবাহ ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণ এবং অর্থায়নের পথ বহুমুখী করতে ব্যবহার করবে, যা ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা কমাতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি, এটি একটি নিরাপদ ও উদ্ভাবনী বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগকারী গোষ্ঠীর জন্য একটি আকর্ষণীয় সুযোগ নিয়ে আসবে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে এই গুরুত্বপূর্ণ বন্ডটি বাজার উদ্ভাবনের প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ় করবে এবং বাংলাদেশের কর্পোরেট বন্ড বাজারের উন্নয়ন, বিকল্প বিনিয়োগ সুযোগ প্রসার ও আর্থিক পণ্য সমৃদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব কর্পোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক (ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল) মোহাম্মদ তানভীর হায়দার পাভেল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর.

এফ. হোসেন এবং সিটি গ্রুপের ম্যানজিং ডিরেক্টর মো. হাসান।

ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক, ডেপুটি ম্যানজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম এবং হেড অব স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স ইউনিট তানভীর কামাল। অন্যদিকে সিটি গ্রুপের ডিরেক্টর (ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস) রেজা উদ্দিন আহমেদ এবং ডিরেক্টর (ইমপোর্ট) খিজির হায়াত খান অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং ব্যাংকিং খাতে তাদের স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স বিজনেস আরও শক্তিশালী করবে।

এএ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: স গ র ইন ড স ট র জ ফ ইন য ন স অন ষ ঠ র জন য হ ড অব

এছাড়াও পড়ুন:

দেশবাসী দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নতুন প্রজন্মও ভোট দিতে পারেনি। তাই, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়। 

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সে পথেই দেশ অগ্রসর হবে।

প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান এবং বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ আগেই বলেছেন।

তিনি মনে করেন, ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করে। বিচার বিভাগ বিচার করবে এবং বিচারের আওতায় আনারও বিষয় আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য আরো প্রায় ছয় মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছে।

সরকারের কি এখন নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়া দরকার আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন।

জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার বিশেষ সম্পর্ক করছে, বিএনপি বিষয়টি কীভাবে দেখছে? এ প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, “আমি একটা জিনিস মনে করি, আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাহলে এখানে সবার মতামত নেওয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং, সবাই তাদের মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া, সবাই নিজেদের মতামত দেবে। এর মধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

বিএনপি এত দিন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারিতে গেল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময়। এবং এত সময়ও লাগার কোনো কারণ নেই। বিএনপি আগে ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান করে নির্বাচনের কথা বলেছে। সুতরাং, ফেব্রুয়ারি আরো দীর্ঘ সময়। তবে, যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

আমীর খসরু বলেন, “আমি আগেও বলেছি, যত বেশি ঐকমত্যের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সেটা জাতির জন্য তত ভালো। আমরা যে ঐকমত্যের মধ্যে এসেছি, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়।”

তিনি আরো বলেন, “ঐকমত্য থাকার ফলেই আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করতে পেরেছি। সুতরাং, আমরা চেষ্টা করব, যেখানেই সম্ভব ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।”

তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকে নির্বাচনে নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা বা বার্তা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হলো— একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং, নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান বলেছেন, এখানে যতটুকু ঐকমত্য হবে, সংস্কারও ততটুকুই হবে। বাকি অংশটা নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির কাছে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। এটি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, নির্বাচনের পরেও এটি চলমান থাকবে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ