যুবদলের কমিটিতে ত্যাগীদের স্থান দিতে হবে: সহিদুল
Published: 24th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বিভিন্ন ইউনিট কমিটিতে বিগত দিনে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সহিদুল ইসলাম।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বিভিন্ন ইউনিট কমিটির গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মীসভার উদ্বোধনী দিনে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত ১ নং ওয়ার্ড ও ১০ নং ওয়ার্ডে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল। উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং স্ব স্ব ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।
সহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কোনো ইউনিট কমিটি নেই। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াই মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছে। দীর্ঘদিন কোনো কমিটি না থাকায় এবং নেতাকর্মীদের কোনো পদ পদবী না থাকায় আর সরকারের নিপীড়ন নির্যাতনের কারণে এসব রাজপথের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কোনদিন মাইক হাতে নিয়ে বক্তব্য দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, অনেক বছর পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বর্তমান নেতৃত্ব তাদের ইউনিট কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। তাই আমরা চাই খুনি হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে যারা লড়াই সংগ্রাম করেছে তাদেরকে যেনো কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এতদিন আমরা স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এবার আমাদেরকে দেশ গঠনের দায়িত্ব নিতে হবে। সমাজকে সুন্দর করে সাজাতে হবে। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। সেই লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, যারা ধানের শীষের জন্য ভোট চাইতে পারবেন, কেন্দ্র পাহারা দিতে পারবেন তাদেরকে যেনো যুবদলের কমিটিতে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। তাহলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল হবে সারা দেশের আইডল। মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
নারায়ণগঞ্জ টাইমস সর্বশেষ জনপ্রিয় ১আরো পড়ুন
আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ বন্দর উপজেলার আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদ
বন্দরে মলমপার্টির সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ
কলাগাছিয়া ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হতে ওসমান দোসররা মরিয়া
বন্দরে ডেভিল হান্টে যুবলীগ নেতা জুম্মান গ্রেপ্তার
বন্দরে ডেভিল হান্টের অভিযানে আওয়ামীলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
বন্দরে কার্গো ট্রাক থেকে ১০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
সোনারগাঁয়ে ২ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
আমরা মোহামেডানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হাবিবের মৃত্যুবার্ষিকী পালন
২৩১/১ বঙ্গবন্ধু সড়ক (৬ষ্ঠ তলা, লিফটের ৫)
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবন, নারায়ণগঞ্জ
নির্বাহী সম্পাদক: মোশতাক আহমেদ (শাওন)
ফোন:+৮৮০১৯৩৩-৩৭৭৭২৪
ইমেইল : [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
© ২০২৫ | সকল স্বত্ব নারায়ণগঞ্জ টাইমস কর্তৃক সংরক্ষিত | উন্নয়নে ইমিথমেকারস.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র ন ত কর ম য বদল র ক ট র সদস য ক কম ট র ব এনপ র সহ দ ল র জপথ ইসল ম গঠন র
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানার বর্জ্যে মরছে নদ
ডাইং কারখানার বর্জ্যে মরছে ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রকাশ্যে এ দূষণ ঘটলেও দেখার কেউ নেই। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ভুক্তভোগীদের। পরিবেশ কর্মকর্তা চাইছেন সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও নরসিংদী সদর উপজেলায় অন্তত ৬০টি ডাইং কারখানা ব্রহ্মপুত্র দূষণের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। নদের তীরে অবস্থিত এসব কারখানায় এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) থাকলেও তারা বর্জ্য পরিশোধন না করেই প্রতিদিন নদে ফেলছে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এ নদের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষজন।
অভিযোগ রয়েছে, নদের তীরে অবস্থিত কারখানাগুলো ইটিপি রাখলেও তারা বর্জ্য পরিশোধন না করেই নদে ফেলছে। অনেক কারখানায় ইটিপি থাকলেও খরচ কমাতে বেশির ভাগ সময় তা বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া বেশকিছু কারখানার ইটিপি প্রয়োজনের তুলনায় ছোট হওয়ায় সঠিকভাবে বর্জ্য পরিশোধন করা সম্ভব হয় না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, নরসিংদী সদর উপজেলায় রয়েছে ছোট-বড় ৫০টি ডাইং কারখানা। আড়াইহাজারে স্পিনিং মিলসহ ডাইং কারখানা রয়েছে অন্তত ১০টি। নরসিংদীর ডাইং কারখানাগুলোর মধ্যে পাঁচদোনা এলাকার আবদুল্লাহ ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ, বাঘহাটা এলাকার ফাইভ অ্যান্ড ফাইভ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, সাজেদা ডাইং, আনোয়ার ডাইং, শতরূপা ডাইং, রুকু ডাইং, মেসার্স একতা ডাইং, কুড়েরপাড় এলাকার ব্রাদার্স টেক্সটাইল, ইভা ডাইং, ভগীরথপুর এলাকার এম এমকে ডাইং, নীলা ডাইং, এইচ এম ডাইং, মা সখিনা টেক্সটাইল, মুক্তাদিন ডাইং, পাঁচদোনা এলাকার তানিয়া ডাইং, সান ফ্লাওয়ার টেক্সটাইল প্রভৃতি।
আড়াইহাজারের কয়েকটি কারখানা হলো– ভাই ভাই স্পিনিং মিলস, ছাবেদ আলী স্পিনিং মিল, রফিকুল ডাইং, দিপু ডাইং ও হাজী হাবিবুর ডাইং।
আড়াইহাজার পৌরসভার চামুরকান্দি এলাকার বাসিন্দা মিয়াজউদ্দিন মিয়া বলেন, দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে নদটি। দেশীয় জাতের মাছের অভয়াশ্রম এ নদ থেকে মাছ হারিয়ে গেছে।
আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেন জানান, রফিকুল ডাইংয়ের বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতে পানির রং কালচে হয়ে গেছে। একই অবস্থা অন্য কারখানাগুলোর। বর্জ্য নদে ফেলার বিষয়ে স্থানীয়রা কথা বলতে গিয়ে উল্টো কারখানা কর্তৃপক্ষের হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
রফিকুল ডাইংয়ের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের ইটিপি নেই। ডাইংয়ের পানি তারা নির্দিষ্ট পানির ট্যাংকে রাখেন, সরাসরি নদে ফেলেন না। ট্যাংকে জমানো পানি কোথায় ফেলেন জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের গনেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হাসান শুভর ভাষ্য, কুড়েরপাড় এলাকার ডাইং কারখানাগুলোর রং মেশানো বর্জ্য পরিশোধন না করে ব্রহ্মপুত্রে ফেলায় নদটি এখন মৃতপ্রায়। দূষণের কারণে দুর্গন্ধে এর পারে দাঁড়ানো যায় না। স্থানীয়রা অনেকবার প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি।
গত ১৫ এপ্রিল শিলমান্দী ইউনিয়নের কুড়েরপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইভা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড নামে একটি কারখানা থেকে বর্জ্য এসে পড়ছে নদের পানিতে। ভিডিও করতে দেখে কারখানা কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে দেয়।
ইভা ডাইংয়ের ইটিপি ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তারা প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন। অনেক কারখানা সরাসরি নদে বর্জ্য ফেললেও তারা নদ দূষণ করেন না।
একই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফাতেমা ডাইংসহ ব্রহ্মপুত্রের তীরে গড়ে ওঠা কারখানাগুলো থেকেও নদে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে এসব কারখানার কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, নদে বর্জ্য ফেলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেক বাবু জানান, ব্রহ্মপুত্রে নদে সরাসরি বর্জ্য ফেলছে ডাইংসহ যেসব কারখানা সেসবের অধিকাংশই নরসিংদী জেলার অন্তর্গত। তাই নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নদ দূষণমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আড়াইহাজারের ইউএনও সাজ্জাত হোসেন বলেন, কখনও কখনও কিছু কারখানা বর্জ্য পরিশোধন না করেই নদে ছেড়ে দেয়। কোন কারখানা নদ দূষণ করছে, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশবাদী সংগঠন তা জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।