ফরম পূরণের টাকা আত্মসাৎ, ছাত্রদল নেতাকে আটকে রাখল শিক্ষার্থীরা
Published: 25th, February 2025 GMT
ফরম পূরণের টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আকাশকে আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা তাকে কলেজের বিজয় ২৪ হলের একটি কক্ষে আটকে রাখেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়েছে। এ সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সেখানে উপস্থিত রয়েছে।
কলেজ প্রশাসন জানায়, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের বিজয় ২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কম টাকায় অনার্স তৃতীয় বর্ষের ফরম পূরণের জন্য টাকা নেন আকাশ। এ সময় তিনি কলেজের ৯৮ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৪ হাজার ৫০০ টাকা করে নেন। তবে আজ তৃতীয় বর্ষের ফরম পূরণের শেষ দিন হলেও আকাশ কারও ফরম পূরণ করেননি। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ফরম পূরণের কথা জানালে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে এনে কলেজের বিজয় ২৪ হলে আটকে রাখেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একজন মো.
আরেক শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফরম পূরণ করেননি আকাশ। আজ রাত ১২টা পর্যন্ত সময়। তাই আমরা তাকে আটকে রেখেছি।’
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আতাউল হক খান চৌধুরী বলেন, কলেজের দরিদ্র তহবিল থেকে প্রকৃত হতদরিদ্রদের সহায়তা করা হয়। তবে কোনো দলীয় সুপারিশে তা করা হয় না। ছাত্রদল নেতা দরিদ্র তহবিল থেকে কম টাকায় ফরম পূরণ করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ ১০৩ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। কাজ না করায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করেছেন।’
জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ইকবাল রাব্বী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আকাশ স্বীকার করেছেন। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় আমরা সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কারের বিষয়টি কেন্দ্রে জানিয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ জানান, ‘অভিযুক্ত আশিক কলেজে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্তে পরবর্তী বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ন ত ছ ত রদল কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।