Prothomalo:
2025-07-31@21:58:48 GMT

এ যেন বড় এক ‘কুকুরছানা’

Published: 26th, February 2025 GMT

বহমান নদীর পাশে মাটিতে থুতনি ঠেকিয়ে যেন বিশ্রাম নিচ্ছে বিশাল আকৃতির একটি কুকুরছানা। বেড়াতে গিয়ে তোলা ছবি ঘাঁটতে গিয়ে এমন এক দৃশ্য খুঁজে পান গুও শিংসান।

সাংহাইভিত্তিক ডিজাইনার গুও গত মাসের শেষদিকে মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশে নিজের শহর ইচাংয়ে বেড়াতে যান। সেখানে তিনি একটি পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন, বেশ কিছু ছবিও তোলেন।

পরে ছবিগুলো ঘাঁটতে গিয়ে একটি ছবিতে যে দৃশ্য দেখতে পান, সেটা তিনি আগে খেয়াল করেননি। ইয়াংসি নদীর পাশে একটি পাহাড়কে দেখে মনে হচ্ছে যেন একটি কুকুর মাটিতে মাথা রেখে বিশ্রাম নিচ্ছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ছবিটি পোস্ট করে গুও ক্যাপশনে লেখেন ‘কুকুরছানা পাহাড়’। তাঁর ওই পোস্ট চীনে আলোড়ন তোলে। প্রচুর পর্যটক পাহাড়টি দেখতে যেতে শুরু করেন।

গুও বলেন, ‘এটা দারুণ বিস্ময়কর ও মিষ্টি। এটা আবিষ্কার করতে পেরে আমি দারুণ আনন্দিত ও খুশি হয়েছিলাম। ওই কুকুরছানার ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে, সেটি পানি পান করছে অথবা মাছের দিকে তাকিয়ে আছে। এটাকে দেখে এমনও মনে হয়েছে যে সেটি নীরবে ইয়াংসি নদী পাহারা দিচ্ছে।’

চীনের একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি পোস্ট করেন গুও। ১০ দিনে ওই ছবির নিচে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি ‘লাইক’ পড়ে। উইবোতে কয়েক লাখ মানুষ ছবিটি দেখেন।

পোষা কুকুর আছে, এমন ব্যক্তিরা নিজেদের কুকুরের ছবি পোস্ট করা শুরু করেন। তাঁরা দেখতে চান, ওই পাহাড়ের সঙ্গে কার কুকুরের মুখ সবচেয়ে বেশি মিলে যায়।

অনেকেই পাহাড়টি নিজের চোখে দেখতে ইচাংয়ে ঘুরতে যান। কেউ কেউ সঙ্গে পোষা কুকুরও নিয়ে যান।

ইচাংয়ের জিগুই কাউন্টিতে পাহাড়টির অবস্থান। পর্যটকদের পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মাচার মতো যেসব জায়গা থাকে, সেখান থেকে ‘কুকুরছানা পাহাড়’ স্পষ্ট দেখা যায়।

চীনের সবচেয়ে দীর্ঘ নদী ইয়াংসি। এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ নদীও বটে। একটি পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে ওই নদী বয়ে গেছে।

গুও ছবি পোস্ট করার পর অনেকে একই মাচা থেকে তোলা ওই পাহাড়ের ছবি পোস্ট করেন। তবে তাঁদের বেশির ভাগই স্বীকার করেন, পাহাড়টি যে একটি কুকুরছানার মুখের মতো দেখতে, সেটা তাঁরা আগে খেয়াল করেননি।

তাঁদের একজন ইচাংয়ের বাসিন্দা সি টং বলেন, তিনি আগেই ওই পাহাড় দেখেছেন এবং পাহাড়ের একই জায়গার একটি ছবিও পোস্ট করেন। ছবিটি ২০২১ সালে তোলা।

সি টং লেখেন, ‘আমি অনলাইনে পাপি মাউন্টেইনের ছবি দেখার পর খুঁজে দেখার চেষ্টা করি, এটি আসলে কোথায়। এবং তারপরই আমি বুঝতে পারি, আরে আমি তো আগেই ওই জায়গায় গিয়েছি। সে সময় আমার কাছেও মনে হয়েছিল যে পাহাড়টি একটি কুকুরের মতো দেখতে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প স ট কর

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ