Prothomalo:
2025-11-03@00:07:58 GMT

এ যেন বড় এক ‘কুকুরছানা’

Published: 26th, February 2025 GMT

বহমান নদীর পাশে মাটিতে থুতনি ঠেকিয়ে যেন বিশ্রাম নিচ্ছে বিশাল আকৃতির একটি কুকুরছানা। বেড়াতে গিয়ে তোলা ছবি ঘাঁটতে গিয়ে এমন এক দৃশ্য খুঁজে পান গুও শিংসান।

সাংহাইভিত্তিক ডিজাইনার গুও গত মাসের শেষদিকে মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশে নিজের শহর ইচাংয়ে বেড়াতে যান। সেখানে তিনি একটি পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন, বেশ কিছু ছবিও তোলেন।

পরে ছবিগুলো ঘাঁটতে গিয়ে একটি ছবিতে যে দৃশ্য দেখতে পান, সেটা তিনি আগে খেয়াল করেননি। ইয়াংসি নদীর পাশে একটি পাহাড়কে দেখে মনে হচ্ছে যেন একটি কুকুর মাটিতে মাথা রেখে বিশ্রাম নিচ্ছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ছবিটি পোস্ট করে গুও ক্যাপশনে লেখেন ‘কুকুরছানা পাহাড়’। তাঁর ওই পোস্ট চীনে আলোড়ন তোলে। প্রচুর পর্যটক পাহাড়টি দেখতে যেতে শুরু করেন।

গুও বলেন, ‘এটা দারুণ বিস্ময়কর ও মিষ্টি। এটা আবিষ্কার করতে পেরে আমি দারুণ আনন্দিত ও খুশি হয়েছিলাম। ওই কুকুরছানার ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে, সেটি পানি পান করছে অথবা মাছের দিকে তাকিয়ে আছে। এটাকে দেখে এমনও মনে হয়েছে যে সেটি নীরবে ইয়াংসি নদী পাহারা দিচ্ছে।’

চীনের একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি পোস্ট করেন গুও। ১০ দিনে ওই ছবির নিচে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি ‘লাইক’ পড়ে। উইবোতে কয়েক লাখ মানুষ ছবিটি দেখেন।

পোষা কুকুর আছে, এমন ব্যক্তিরা নিজেদের কুকুরের ছবি পোস্ট করা শুরু করেন। তাঁরা দেখতে চান, ওই পাহাড়ের সঙ্গে কার কুকুরের মুখ সবচেয়ে বেশি মিলে যায়।

অনেকেই পাহাড়টি নিজের চোখে দেখতে ইচাংয়ে ঘুরতে যান। কেউ কেউ সঙ্গে পোষা কুকুরও নিয়ে যান।

ইচাংয়ের জিগুই কাউন্টিতে পাহাড়টির অবস্থান। পর্যটকদের পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মাচার মতো যেসব জায়গা থাকে, সেখান থেকে ‘কুকুরছানা পাহাড়’ স্পষ্ট দেখা যায়।

চীনের সবচেয়ে দীর্ঘ নদী ইয়াংসি। এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ নদীও বটে। একটি পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে ওই নদী বয়ে গেছে।

গুও ছবি পোস্ট করার পর অনেকে একই মাচা থেকে তোলা ওই পাহাড়ের ছবি পোস্ট করেন। তবে তাঁদের বেশির ভাগই স্বীকার করেন, পাহাড়টি যে একটি কুকুরছানার মুখের মতো দেখতে, সেটা তাঁরা আগে খেয়াল করেননি।

তাঁদের একজন ইচাংয়ের বাসিন্দা সি টং বলেন, তিনি আগেই ওই পাহাড় দেখেছেন এবং পাহাড়ের একই জায়গার একটি ছবিও পোস্ট করেন। ছবিটি ২০২১ সালে তোলা।

সি টং লেখেন, ‘আমি অনলাইনে পাপি মাউন্টেইনের ছবি দেখার পর খুঁজে দেখার চেষ্টা করি, এটি আসলে কোথায়। এবং তারপরই আমি বুঝতে পারি, আরে আমি তো আগেই ওই জায়গায় গিয়েছি। সে সময় আমার কাছেও মনে হয়েছিল যে পাহাড়টি একটি কুকুরের মতো দেখতে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প স ট কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ