Samakal:
2025-08-01@04:42:51 GMT

ঈদ আয়োজন

Published: 4th, March 2025 GMT

ঈদ আয়োজন

কে ক্র্যাফট

ঈদ আসে আনন্দের সহযাত্রী হয়ে। তাই আসছে ঈদকে সামনে রেখে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী ক্রেতা, শুভানুধ্যায়ীকে প্রত্যাশিত নতুন কিছু দেওয়ার জন্য কে ক্র্যাফট ইতোমধ্যে ঈদ আয়োজনের পোশাক নিয়ে হাজির হয়েছে। আয়োজনে রয়েছে নানা প্যাটার্নের সালোয়ার-কামিজ, ডাবল লেয়ারড সালোয়ার-কামিজ, লং-কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস, ডাবল লেয়ারড কুর্তি, টিউনিক, গাউন, কাফটান, প্যান্টসহ টপস, টপস-স্কার্ট। ছেলেদের জন্য রেগুলার, কাটবেজড ও ফিটেড পাঞ্জাবি, রেগুলার ও স্লিম ফিট ক্যাজুয়াল শার্ট, এথনিক শার্ট, ফতুয়া ও টি-শার্ট। এ ছাড়াও থাকছে বাচ্চাদের জন্য উৎসবভিত্তিক পোশাক, ম্যাচ করা ফ্যামিলি পোশাক এবং যুগলদের জন্য বিশেষ পোশাক। পরিবেশ ও আবহাওয়ার সঙ্গে আরামের বিষয়টি মাথায় রেখে ফেব্রিক ও রঙের ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। v
 

সাতকাহন

ঈদ আনন্দে যোগ দিতে দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘সাতকাহন’ ফ্যাশনপ্রেমীদের কথা চিন্তা করে এবার নিয়ে এসেছে তাদের বিশেষ ঈদ কালেকশন ২০২৫। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে তৈরি এই নতুন সংগ্রহে থাকছে বসন্তের উচ্ছ্বাস, ভালোবাসার রং, আরামদায়ক ফেব্রিক্স ও নান্দনিক ডিজাইনের সমন্বয়। ‘সাতকাহন’-এর কালেকশনে এবার উজ্জ্বল রঙের দৃষ্টিনন্দন সংমিশ্রণ করা হয়েছে। ডিজাইনগুলোয় দেশীয় কারিগরদের শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যা ফ্যাশনপ্রেমীদের মন জয় করবে। নতুন এই কালেকশনে আবেগ, ভালোবাসা ও বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। ট্রেন্ড ও আরামের দিকটিও সমানভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, যাতে ক্রেতারা স্টাইল ও স্বাচ্ছন্দ্য দুটিই উপভোগ করতে পারেন। সাতকাহনের ঈদ কালেকশনকে দুটি ঋতুর ভিন্নতা এবং সংযোগের কথা মাথায় রেখে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে বাহারি রং, নকশা ও ট্রেন্ডি ডিজাইনের মাধ্যমে, যেখানে ফুটে উঠেছে বাংলার ঐতিহ্য। 

রঙ বাংলাদেশ

‘রঙ বাংলাদেশ’-এর এবারের ঈদের থিম ‘আল হামরা মসজিদ’, ‘টি’নালক উইভিং’ ও ‘ডিলাইট ইন ডিজাইন-ইন্ডিয়ান সিলভার ফর দ্য রাজ’।  আল হামরা মসজিদ স্পেনের কর্ডোবা শহরে অবস্থিত উমাইয়া খলিফাদের নির্মিত একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এই মসজিদের অনন্য শিল্পশৈলীমণ্ডিত নকশার অনুপ্রেরণাকে ‘রঙ বাংলাদেশ’ কাজে লাগিয়েছে ঈদের পোশাকে। টি’নালক উইভিং একটি ঐতিহ্যবাহী বুননশিল্প, যা ফিলিপাইনের টি’বোলি জনগোষ্ঠীর সামাজিক পরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাচীন এ শিল্প মাধ্যমে প্রাকৃতিক সুতার ব্যবহারে সুন্দর নকশার  টি’নালক শাড়ি ও অন্যান্য পোশাক তৈরি হয়, যা মূলত স্বপ্ন ও প্রাকৃতিক দৃশ্য অনুপ্রাণিত জটিল জ্যামিতিক নকশা ও নিপুণ কারুকাজের জন্য পরিচিত।  ‘ডিলাইট ইন ডিজাইন-ইন্ডিয়ান সিলভার ফর দ্য রাজ’ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ভারতীয় কারিগরদের তৈরি রূপার শিল্পকর্ম। এ শিল্পকর্মে আছে সূক্ষ্ম খোদাই, জটিল নকশা এবং কারিগরদের সৃজনশীলতার ছাপ; যা ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর পোশাকে নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য ড জ ইন

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ