ইফতারে আরবের ফল সাম্মাম, এক কেজির দাম ১৫০ টাকা
Published: 6th, March 2025 GMT
আরবের ফল সাম্মাম এখন ইফতারের টেবিলে উঠেছে। দিন দিন এই ফল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এবারের ইফতারের খাবারের তালিকায় অনেকেই সাম্মাম রাখছেন। তাই বাজারেও বেশ ভালোই সাম্মাম বেচাকেনা হচ্ছে। এই ফল খেতে অনেকটা বাঙ্গির মতো স্বাদ। বাইরের দিকটা দেখতে সবুজের মতো। এটি মূলত সৌদি আরবের ফল হিসেবেও পরিচিত।
আজ দুপুরে কারওয়ান বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, এক কেজি সাম্মাম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়। এক কেজিতে সাম্মাম ওঠে তিন থেকে চারটি। বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যেও সাম্মাম কেনায় বেশ আগ্রহ। অনেকে দামদর করছেন। কেউবা কিনছেন।
কারওয়ান বাজারের ফলের বাজারের চার-পাঁচটি দোকানে সাম্মাম পাওয়া যাচ্ছে। বেচাকেনাও বেশ ভালো। রাজধানীর অন্য বড় বাজার ও সুপারশপগুলোতে এই ফল দেখা যায়।
কারওয়ান বাজারের ফল বিক্রেতা মো.
ফলের দোকানে সাইদুর রহমান নামের একজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, ‘ইফতারের সময় মাঝেমধ্যে ব্যতিক্রমী ফল রাখলে ভালো লাগে। বাসার সবাই পছন্দ করেন। তাই আজ এক কেজি সাম্মাম কিনলাম।’
আরব অঞ্চলের ফল হলেও এক দশক ধরে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সীমিত পরিসরে সাম্মামের ফলন হচ্ছে। মূলত রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, বগুড়া অঞ্চলে সাম্মামের ফলন হয়। ৮-১০ বছর ধরে এই অঞ্চলের অনেকে এই ফল উৎপাদন করছেন। সরকারিভাবে নানা ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে সাম্মাম মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এক জাতের সাম্মামের বাইরের অংশ সবুজ আর ভেতরে লাল। আরেক জাতের সাম্মামের বাইরের অংশ হলুদ আর ভেতরে লাল। যা অনেকের কাছে হানি ডোর নামেই পরিচিত। তবে দুটি ফলই খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত। বীজ বপনের দুই-আড়াই মাসের মধ্যে সাম্মামগাছে ফল আসে। তিন মাসের মধ্যে এ ফল পরিপক্ব হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।