২০২৫ সালের ক্লাব বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে ফিফা। ৩২ দলের এই টুর্নামেন্টের জন্য যে পরিমাণ প্রাইজমানি ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা শুনে অনেকেই অবাক হতে পারেন। পরিমাণটা যে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের প্রাইজমানির দ্বিগুণের বেশি!

যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত হতে যাওয়া ক্লাব বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ১০০ কোটি ডলার। জাতীয় ফুটবল দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ছিল ৪৪ কোটি ডলার আর ২০২৩ নারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ছিল ১১ কোটি ডলার।

ফিফা এক বিবৃতিতে বলেছে, ৩২ দল নিয়ে আয়োজন করতে যাওয়া ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে ২০০ কোটি ডলার আয় হতে পারে। একই সঙ্গে মেয়েদের ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৮ সাল থেকে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনক্লাব বিশ্বকাপ থেকে কত টাকা পাবে রিয়াল–সিটি–মায়ামি ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ফিফা বিবৃতিতে এ–ও জানিয়েছে যে এই টুর্নামেন্ট থেকে যে পরিমাণ অর্থ আয় হবে, তার সবটাই ভাগ করে দেওয়া হবে অংশ নেওয়া ক্লাবগুলোর মধ্যে। ফিফা একটি ডলারও নিজেদের জন্য রাখবে না। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া সব ক্লাবের জন্যই প্রাইজমানি থাকবে।এ ছাড়া ফলের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে পারফরম্যান্স ফি।

আরও পড়ুন২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপ ‘চাপিয়ে’ দেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ফিফার১০ মে ২০২৪

২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিটি মহাদেশের চ্যাম্পিয়ন ও আয়োজক দেশের একটি দল নিয়ে। এবারই প্রথম ছয় মহাদেশ থেকে খেলবে ৩২ দল। ১৪ জুন উদ্বোধনী ম্যাচে মায়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে ইন্টার মায়ামি মুখোমুখি হবে মিসরের আল আহলির।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ