‘শত কোটি টাকার ব্যবসা চাই, সৃজনশীল পরিবেশ একেবারে নেই বলিউডে’
Published: 7th, March 2025 GMT
অনুরাগ কাশ্যপ বলিউডে একাধিক জনপ্রিয় সিনেমা ও সিরিজের নির্মাতা। করেছেন অভিনয়ও। তার কাজের ভক্তের সংখ্যাও নেহাত মন্দ নয়। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন এই নির্মাতা।
গত বছর অনুরাগ জানান, তিনি দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এবার এক সাক্ষাৎকারে, বলিউডকে ‘টক্সিক’ বললেন তিনি। সঙ্গে বলিউড ছাড়ারও ঘোষণা দিলেন।
অনুরাগ কাশ্যপের মন্তব্য, ‘হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিবেশ একেবারে টক্সিক। সকলে বক্স অফিস অঙ্কের পিছনে ছুটছে। সবার কোটির ক্লাবের দিকে নজর। এই ইঁদুর দৌড়ের জেরে সৃজনশীলতা নষ্ট হচ্ছে।’ যে কারণে রাগে-ঘৃণায় বলিউড ছাড়ার বিস্ফোরক ঘোষণা ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’ পরিচালকের।
মাস দুয়েক আগেই বলিউড ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুরাগ। সেইসময়েই হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিবেশ এবং কাজের ধরন নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছিলেন। আর এবার বলিউড ছেড়ে পাকাপাকিভাবে দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রিতে শিকে ছিঁড়লেন পরিচালক।
সম্প্রতি এক বলিউড সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনুরাগ কাশ্যপ জানিয়েছেন, ‘আমি ফিল্মি লোকজনদের থেকে শতহস্ত দূরে থাকতে চাই। ইন্ডাস্ট্রিটা এত টক্সিক হয়ে গেছে। সকলে অলীক একটা লক্ষ্যের দিকে ছুটছে। সকলের ৫০০-৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা চাই। সৃজনশীল পরিবেশ একেবারে নেই বলিউডে।’
জানা গেছে, মুম্বাই ছেড়ে এখন থেকে বেঙ্গালুরুতেই থাকবেন অনুরাগ। মাস দুয়েক আগে বলিউডের বিরুদ্ধে বিষোদগার করার পরই তিনি নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যদিও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সৃজনশীল ভাবনায় অনুরাগ মুগ্ধ। নির্মাতার কথায়, ‘দক্ষিণের কাজ দেখলে আমার হিংসে হয়। আমার পক্ষে এখন আর বাইরে গিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা সম্ভব নয়।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইন ড স ট র স জনশ ল পর ব শ অন র গ
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজনি র্যাশ কী, হলে কী করবেন
ডিজনি র্যাশ বিষয়টি আমাদের অচেনা। এটি মূলত ত্বকের একধরনের সমস্যা। সাধারণত কেউ গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘসময় থাকলে এই র্যাশ দেখা যায়। বিদেশে ডিজনি ওয়ার্ল্ডের মতো থিম পার্কে গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময় থাকার পর অনেকের ত্বকে এ ধরনের র্যাশ দেখা দেয়। আর সেখান থেকেই এসেছে ডিজনি র্যাশ।
ডিজনি র্যাশ দেখতে কেমনএ ধরনের র্যাশ পায়ের নিচের দিকের অংশে, যেমন গোড়ালি বা তার কাছাকাছি জায়গায় হয়। দেখতে ছোট ছোট লাল দাগ বা ফুসকুড়ির মতো। এই র্যাশ চুলকায়ও। অনেক সময় জ্বালাপোড়া, ফোলা ভাব বা ব্যথা থাকে। গরমে রক্তনালির প্রদাহ বা ভাস্কুলাইটিস হয়ে এ রকম হয়ে যায়।
কারা বেশি আক্রান্ত হয়তীব্র গরমে বেশিক্ষণ থাকলে, বিশেষ করে যাঁরা গরম আবহাওয়ায় অভ্যস্ত নন, তাঁদের এটি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বয়স্কদের এই র্যাশ বেশি হয়। যাঁরা দীর্ঘক্ষণ হাঁটেন বা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁদের এটি হতে দেখা যায়। যেমন যাঁরা অনেক ঘোরাঘুরি করেন, তাঁদেরও হতে পারে। যাঁরা আঁটসাঁট প্যান্ট বা মোজা পরেন, তাঁদেরও এটি বেশি হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুনজ্বরের সঙ্গে র্যাশ মানেই কি ডেঙ্গু১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩চিকিৎসা ও প্রতিরোধপ্রথমত, গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময় থাকা যাবে না। এ রকম পরিবেশে গেলে ঠান্ডা পানিতে নিয়মিত পা ধুতে হবে বা বরফ থাকলে শরীরে ঘষে নিতে হবে। পোশাক পরতে হবে হালকা ও আরামদায়ক। ভ্রমণের মাঝখানে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। গরম আবহাওয়ায় পানি খেতে হবে বেশি।
র্যাশ হয়ে গেলে আক্রান্ত জায়গা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। পা উঁচু করে রাখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চুলকানির ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
এ রকম র্যাশ সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকার কথা নয়। থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। র্যাশ যদি ছড়িয়ে পড়ে, সেটিও ভালো লক্ষণ নয়। এ ছাড়া অনেক সময় র্যাশে ইনফেকশন বা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। যদি জ্বর আসে, শরীর বেশ অসুস্থ হয়ে যায়, দুর্বল লাগে, তাহলে ইনফেকশন হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দ্রুত।