বিশ্বের ১২৬ নগরীর মধ্যে আজ শনিবার সকালে বায়ুদূষণে ষষ্ঠ স্থানে আছে ঢাকা। আজ সকাল ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৭৩। এ মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। নগরীর বায়ু আজ অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু গুলশান–২, ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ও মহাখালীর আইসিডিডিআরবি–সংলগ্ন এলাকায় দূষণ অপেক্ষাকৃত বেশি। এর মধ্যে বায়ুর মান খুব অস্বাস্থ্যকর মার্কিন দূতাবাস এলাকায়।

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। বায়ুর মান ২৩৬।

গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।

আজ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে বায়ুর মান ১১৫, রাজশাহীতে ১৭৬ ও খুলনায় ১৫৪।

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক এবং নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.

৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১৭ গুণ বেশি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পুরুষ জলহস্তী কেন নিজের ছেলেশিশুকে মেরে ফেলে?

মানুষের মতো পশুদেরও সমাজ আছে। তাদেরও সামাজিক, পারিবারিক এবং দলগত আলাদা আলাদা রীতি আছে। দলে বা সমাজে সবচেয়ে ক্ষমতাধর হওয়ার জন্য পশুরাও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ নেয়। এমনকি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নিজের সন্তানকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করে না। বিশেষ করে জলহস্তী সমাজে এই রীতি রয়েছে। জলহস্তীদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। অর্থাৎ বাবার পরে ছেলে পরিবারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। তবে পরম্পরায় নয় বরং একজন আরেকজনকে মেরে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে থাকে।

জলহস্তী মা যদি ছেলেশিশুকে অনেক কষ্টে লুকিয়ে বড় করে তবে এক সময় সেই সন্তান বড় হয়ে বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এরপর বাবা আর ছেলের রক্তক্ষয়ী লড়াই শুরু হয়। যার শেষ হয় হয় বাবার মৃত্যু অথবা ছেলের মৃত্যুর মাধ্যমে।

অথবা যে পরাজিত হয় সে দল ত্যাগ করে, পরিবার ত্যাগ করে। পশু সমাজে জলহস্তীদের মধ্যে এই ছেলেশিশু হত্যার প্রবণতা সবচেয়ে প্রকট।

আরো পড়ুন:

বানরের সহযোগিতায় ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলো শিশু

জার্মানিতে বর্বরতার শিকার বাচ্চা মোরগ

ছেলে সন্তান জন্মের পরেই জলহস্তী পরিবারে নেমে আসে অজানা আতঙ্ক। বাবা জলহস্তী নিজ সন্তানকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়ায়।

জলহস্তীরা সাধারণত এক একটি দলে ভাগ হয়ে থাকে। তাদের প্রত্যেক দলে ৬-১০টি সদস্য থাকে। প্রত্যেক দলে মাত্র একজনই পুরুষ থাকে, বাকিরা নারী। পুরুষটি পুরো দলের ওপর শাসন ক্ষমতা বিস্তার করে। একক শাসক হিসেবে টিকে থাকার জন্যেই ছেলে সন্তানকে মেরে ফেলে। 

একটি ছেলেশিশুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মা জলহস্তীকে অনেক কষ্ট করতে হয়। 

gorillatrailsafaris.com – এর তথ্য, ‘‘স্ত্রী জলহস্তীর গর্ভধারণ ৮ মাস স্থায়ী হয়। সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে এলেই মা জলহস্তী দল থেকে দূরে সরে যায়। সন্তান জন্ম না দেওয়া পর্যন্ত দূরে থাকে। যেকোনো ধরণের হুমকি থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য শিশু জলহস্তী যখন দৌড়াতে শেখে, আত্মরক্ষা করতে শেখে তখন সেই সন্তানকে নিয়ে দলে ফেরে মা জলহস্তী। ’’

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ