দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২ থেকে ৬ মার্চ) কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড।

শনিবার (৮ মার্চ) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির গড়ে ২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫.

৯২ শতাংশ। এর ফলে কোম্পানিটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৩০ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.১২ শতাংশ।

লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- শাইনপুকুর সিরামিকসের ৬.৬৪ শতাংশ, আল-হাজ্ব টেক্সটাইলের ৬.২০ শতাংশ, লাভেলো আইসক্রিমের ৫.৮২ শতাংশ, রবি আজিয়াটার ৫.৭৬ শতাংশ, কেডিএস এক্সেসরিজের ৫.২৯ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুডের ৫.১৯ শতাংশ এবং আইএফআইসির ৫.২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল নদ ন র শ র ষ র ল নদ ন ড এসইর

এছাড়াও পড়ুন:

সিগারেট উৎপাদন বাড়াতে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ বিএটিবিসির

প্রায় ৬০ বছর পর ঢাকা থেকে কারখানা সাভারে সরিয়ে নিচ্ছে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকারী বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি বা বিএটিবিসি। কোম্পানিটি রাজধানীর মহাখালী থেকে তাদের কারখানা সাভারের আশুলিয়ায় সরিয়ে নিচ্ছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, আগামী ১ জুলাই থেকে এই কারখানায় হবে বিএটিবিসির প্রধান উৎপাদনকেন্দ্র। আগে আশুলিয়ার এই কারখানায় সীমিত পরিসরে রপ্তানির জন্য নানা ধরনের সিগারেট তৈরি করা হতো। এখন স্থানীয় ও রপ্তানি বাজারের প্রায় সব সিগারেট তৈরি হবে এই কারখানায়। এ কারণে কারখানাটির উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন করে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিএটিবিসি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নতুন এই বিনিয়োগের তথ্য জানিয়েছে। এ–সংক্রান্ত ঘোষণায় কোম্পানিটি জানায়, গত বুধবার অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সাভারের কারখানার উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে ২৯৭ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এই অর্থ বিনিয়োগ করা হবে কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়ন ও ব্যাংকঋণ করে।

এর আগে গত ১৯ জুন বিএটিবিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের কারখানা রাজধানীর মহাখালীর নিউ ডিওএইচএস থেকে আশুলিয়ায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কোম্পানির নিবন্ধিত ঠিকানাও বদল করে সাভারের আশুলিয়ার ধামসোনার বলিভদ্র বাজারে স্থানান্তর করা হয়েছে। নতুন এ ঠিকানায় ১ জুলাই থেকে কোম্পানিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। একই দিনে বন্ধ হয়ে যাবে কোম্পানিটির ঢাকার কারখানার কার্যক্রম।

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, কারখানা স্থানান্তরের পাশাপাশি কোম্পানিটির করপোরেট কার্যালয়ও স্থানান্তর করা হচ্ছে। ১৯৬৫ সালে ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় বহুজাতিক এই কোম্পানিটির কারখানা স্থাপন করা হয়। সেটি ছিল বাংলাদেশে তাদের দ্বিতীয় কারখানা। তার আগে ১৯৪৯ সালে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে কোম্পানিটির প্রথম কারখানা স্থাপন করা হয়েছিল। এখন ৬০ বছর পর এসে মহাখালী থেকে কারখানা সরিয়ে নিচ্ছে কোম্পানিটি।

জানা যায়, মহাখালীতে কারখানার জায়গা ইজারা নিয়ে এত দিন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল কোম্পানিটি। প্রতি ইজারা চুক্তির মেয়াদ ৩০ বছর এবং মেয়াদ নবায়নের সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ ৯০ বছর পর্যন্ত। তবে মহাখালীর এই কারখানা আবাসিক এলাকায় হওয়ায় পরিবেশবাদীরা তা সরানোর দাবি করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। এ অবস্থায় ৬০ বছর কার্যক্রম পরিচালনার পর বাকি ৩০ বছরের জন্য ইজারা নবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিল কোম্পানিটি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা নবায়ন না করলে কোম্পানিটি আইনি লড়াইয়ে নামে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ২৮ মে বিএটি বাংলাদেশের করা আপিল খারিজ করে দেন। এরপর ১৯ জুন কোম্পানিটি তাদের প্রধান কার্যালয় স্থানান্তর ও কারখানা সরানোর ঘোষণা দেয়।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। ১৯৭৭ সালে কোম্পানিটি ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়। এটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশি–বিদেশি ভালো মানের কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম। ঢাকার বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার কোম্পানিটি লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় ছিল। এদিন এটির শেয়ারের দাম ৭ টাকা ৭০ পয়সা বা প্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ২৮০ টাকায়। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে কোম্পানিটির প্রায় সোয়া ৮ কোটি টাকার প্রায় ৩ লাখ শেয়ারের হাতবদল হয়। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৪ সালের জন্য বিনিয়োগকারীদের ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। অর্থাৎ প্রতি শেয়ারের বিপরীতে একজন শেয়ারধারী ৩০ টাকা লভ্যাংশ পেয়েছেন।

কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটি ৩১৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এ সময় কোম্পানিটি ব্যবসা করেছে প্রায় ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকার। আর গত বছর শেষে কোম্পানিটির মুনাফা ছিল ১ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে ফারইস্ট ফাইন্যান্স
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে ব্যাংক এশিয়া পার্পেচুয়াল বন্ড
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম
  • ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৫৩ শতাংশ
  • পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ১৭ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা
  • সিগারেট উৎপাদন বাড়াতে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ বিএটিবিসির
  • শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন