ঝালকাঠি সদর উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনাসদস্যের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের স্বল্পসেনা গ্রামের ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

লাশ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম দেলোয়ার হোসেন মৃধা (৬৫)। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাঁর বাড়ির কাজের লোক সোহরাব হোসেনকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ, স্বজন ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, দেলোয়ার হোসেন সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের নির্জন বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। তাঁর স্ত্রী দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঝালকাঠি পৌর শহরে বসবাস করেন। দেলোয়ার বাড়িতে শাকসবজির চাষ ও গরু-ছাগল লালন–পালন করতেন। এ কাজে সোহরাব হোসেন সহায়তা করতে। বাড়ির কাজের লোক হিসেবে থাকা সোহরাব নেশা করতেন। সোহরাবের সঙ্গে দেলোয়ারের কোনো বিষয় নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

নিহত দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে ঝালকাঠি শহর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হাসান (বাবু) বলেন, ‘আমার বাবা গ্রামে থাকতে পছন্দ করতেন। তাঁকে আমরা শহরে নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। গতকাল তিনি পেনশনের টাকা উত্তোলন করে বাড়িতে রাখেন। আজ দুপুরের দিকে বাবার খোঁজ নিতে বাড়িতে এসে তাঁর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখি, তাঁর গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। পরে ঘরের বাহির থেকে সোহরাব হোসেনকে আটক করি। তার পকেট থেকে আমার বাবার পেনশনের ৫ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। আমার বাবা আজ সকালেও লাউয়ের মাচা থেকে লাউ কেটে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করেছেন। এরপর বেলা ১১টার দিকে সোহরাব এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমরা ধরণা করছি।’

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মনিরুজ্জামন বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোহরাব হোসেন নামে বাড়ির কাজের লোককে আটক করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: করত ন

এছাড়াও পড়ুন:

হিমাগারে কেজিপ্রতি আলুর ভাড়া সাড়ে ৫ টাকা

রাজশাহীতে আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হিমাগার মালিকদের দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সমঝোতায় বসে দুইপক্ষ আলুর ভাড়া কেজিপ্রতি সাড়ে ৫ টাকা নির্ধারণ করেছে।

সোমবার (১৬ জুন) রাজশাহী আর্মি ক্যাম্পে দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তিন পক্ষের মধ্যে বৈঠক চলে। এ বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সবাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে ভাড়া নির্ধারণ করে চুক্তি করে রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুর রহমান, রাজশাহী জেলা আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আহাদ আলী, সহসভাপতি আলম আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

পাম্পে গাড়ির চাপ, গণপরিবহনে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ

সড়কে শিক্ষার্থীদের ব্যাঙ্গ চিত্র প্রদর্শন

বৈঠক শেষে সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, দুপক্ষের চুক্তি অনুযায়ী এখন থেকে আলুর ভাড়া নেয়া হবে কেজিপ্রতি সাড়ে ৫ টাকা। প্রতি কেজির জন্য শ্রমিক খরচ নেয়া যাবে ৫০ পয়সা। আগাম বুকিংয়ে যেসব আলু রাখা হয়েছে, সেগুলো আগের চুক্তি অনুযায়ীই ভাড়া দিতে হবে। আগাম বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও কেজিপ্রতি ৫০ পয়সা শ্রমিক খরচ নেয়া যাবে।

প্রতি কেজি আলুর সংরক্ষণের জন্য আগে কৃষকদের ৪ টাকা ভাড়া দিতে হতো। এবার আলু ওঠার সময় ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আলু বের করতে গেলে কেজিপ্রতি ৮ টাকা করে নিতে শুরু করে হিমাগারগুলো। এর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করে আসছিলেন।
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ