চ্যাম্পিয়ন হয়ে কতো টাকা পেল ভারত? নিউ জিল্যান্ড পেল কতো?
Published: 10th, March 2025 GMT
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার (০৯ মার্চ, ২০২৫) অনুষ্ঠিত ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। এক যুগ পর ফের এই ট্রফির স্বাদ পেল তারা। এটি ছিল ভারতের তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শিরোপা।
শিরোপার সঙ্গে বিশাল অঙ্কের প্রাইজমানি যোগ হয়েছে ভারতের ঝুলিতে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিজয়ী দল হিসেবে তারা পেয়েছে ২২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকা (ডলারপ্রতি ১২২ টাকা হিসাবে)।
ফাইনালে হেরে রানার্স-আপ হওয়া নিউ জিল্যান্ডও পেয়েছে মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার। রানার্সআপ হওয়ায় তারা পেয়েছে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন:
অবসর ভেঙে ফিরেই ২৮ বলে ১৫ ছক্কায় ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে পাকিস্তানের প্রতিনিধি না থাকায় অসন্তোষ
আইসিসি আগেই ঘোষণা করেছিল যে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রাইজমানির পরিমাণ বাড়ানো হবে। শেষবার এই টুর্নামেন্ট হয়েছিল ২০১৭ সালে। ৮ বছর পর হওয়া এবারের আসরে পুরস্কারের পরিমাণ ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বাকি দলগুলোর প্রাপ্তি কত?
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান পাওয়া দল পেয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে।
সপ্তম ও অষ্টম স্থান অধিকারীরা পেয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার করে।
প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী দল পেয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার করে।
বাংলাদেশের প্রাপ্তি কেমন?
আর্থিক দিক থেকে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খুব একটা খারাপ যায়নি। তিন ম্যাচে দুই হারে ও এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। তবে অংশগ্রহণ ফি’র পাশাপাশি কোনো জয় ছাড়াই বাংলাদেশ পেয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্ত প্রাইজমানি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস