আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শুভ সূচনা ব্রাজিলের
Published: 11th, March 2025 GMT
ফুটবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। সেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা এবার ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট মাঠেও। ২০২৬ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দলের নারী ক্রিকেট দল। বুয়েনস এইরেসের সেন্ট আলবান্স ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২৫ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে ব্রাজিল।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ব্রাজিল নারী দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে তোলে মাত্র ৬৯ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২ রান করেন অধিনায়ক কারোলিনা নাসিমেন্তো। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫.
শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল আর্জেন্টাইনরা। দুই ওপেনার আলবের্তিনা গালান (৯) ও মালেনা লোয়ো (১০) দলকে এনে দেন ২২ রানের উদ্বোধনী জুটি। কিন্তু এরপরই ব্রাজিলীয় বোলারদের দাপটে একের পর এক উইকেট হারায় তারা। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন নিকোল মন্তেইরো। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নিয়ে তিনি হয়ে যান ম্যাচসেরা।
আর্জেন্টিনার পক্ষে গালান ও লোয়োই ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এই জয়ে ডাবল লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্টে ব্রাজিল ভালো অবস্থানে রয়েছে। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে নিয়ে আয়োজিত এই অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে শীর্ষ দলটি যাবে গ্লোবাল রাউন্ডে।
আগামী ১৭ মার্চ আবারও মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা নারী দল। তার আগে এই জয় আত্মবিশ্বাস দেবে ব্রাজিল দলকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’