সৌন্দর্যকে হত্যার অভিযোগে মোহন বাবুর বিরুদ্ধে মামলা, নীরবতা
Published: 13th, March 2025 GMT
২০০৪ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সৌন্দর্য। তার মৃত্যুর ২১ বছর পর তাকে হত্যার অভিযোগে তেলেগু সিনেমার অভিনেতা মোহন বাবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
চিত্তিমালু নামে একজন সমাজকর্মী মোহন বাবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তার অভিযোগ, অভিনেত্রী সৌন্দর্যর মৃত্যু দুর্ঘটনাজনিত নয়। বরং মোহন বাবুর সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
গত কয়েক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে। এবার নীরবতা ভাঙলেন সৌন্দর্যের স্বামী এল.
আরো পড়ুন:
অভিনেত্রী সৌন্দর্যের মৃত্যুর ২১ বছর পর মোহন বাবুর বিরুদ্ধে মামলা
আল্লু-স্নেহার ‘সিনেমাটিক’ প্রেম-বিয়ে
মোহন বাবুর সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ ব্যাখ্যা করে রঘু বলেন, “গত ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে মোহন বাবু স্যারকে চিনি। আমাদের সম্পর্ক ভালো। আমার পরিবার, আমার স্ত্রী, আমার শাশুড়ি, শ্যালক সবসময়ই পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমি মোহন বাবু স্যারকে শ্রদ্ধা করি। সত্য তথ্য আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম। দয়া মিথ্যা খবর ছড়ানো বন্ধ করুন।”
অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম জেলার বাসিন্দা সমাজকর্মী চিত্তিমালু পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, অভিনেত্রী সৌন্দর্য হায়দরাবাদের জলপল্লী এলাকায় ৬ একর জমি কিনেছিলেন। এই জমি নিয়ে মোহন বাবুর সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় অভিনেত্রী সৌন্দর্যের। মোহন বাবু জমি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সৌন্দর্য ও তার ভাই অমরনাথ বিরোধিতা করেন। সৌন্দর্যের মৃত্যুর পর সেই জমি অবৈধভাবে দখল করেন মোহন বাবু।
২০০৪ সালের ১৭ এপ্রিল, করিমনগরে বিজেপি এবং তেলুগু দেশম পার্টির একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী সৌন্দর্য। বিমান দুর্ঘটনায় সৌন্দর্য ও তার ভাইও মারা যান। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার পর সৌন্দর্যের মৃতদেহও খুঁজেই পাওয়া যায়নি। গুঞ্জন রয়েছে, মৃত্যুর সময়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এই অভিনেত্রী। সৌন্দর্যের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগে কোনো মামলা হয়নি বলেও জানা গেছে।
১৯৯২ সালে কন্নড় ভাষার ‘রাজধি রাজা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সৌন্দর্য। এরপর তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, হিন্দি ভাষার অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৯৯ সালে ‘সূর্যবংশম’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। এতে অমিতাভের বিপরীতে অভিনয় করেন সৌন্দর্য। এ জুটির রসায়নে মুগ্ধ হন ভক্ত-অনুরাগীরা।
তথ্যসূত্র: তেলেগু ৩৬০
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হন ব ব র ব র দ ধ স ন দর য র ম ত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া
ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।
অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।
২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার