‘ধর্ষকের প্রকাশ্যে’ শাস্তি এবং শাহবাগে পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের মতে, ধর্ষণে অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে শাস্তি দিলে দেশে ধর্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পল্টনের সুরমা টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে দুই শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা ‘রশি লাগলে রশি দে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’, ‘ফাঁসি, ফাঁসি, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’সহ নানা স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে ছিলেন। এ সময় পুলিশের সাঁজোয়া যানের পাশাপাশি জলকামানও দেখা গেছে বায়তুল মোকাররম এলাকায়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সুরমা টাওয়ারের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন বলেন, ‘আমরা ধর্ষকের প্রকাশ্যে শাস্তি দাবি করছি, এটি করলে দেশে ধর্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। আমরা দেশের সব মা-বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।’

খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, দেশের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সব অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির শাহিনুল পাশা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল, আবুল হাসান আফজাল আলী, মহানগর সভাপতি সানাউল্লাহ আমিন উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনমাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের মামলার তদন্ত দ্রুততম সময়ে শেষ করা হবে: আইজিপি১৩ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় মেঘের সন্ধান, অনুসন্ধানে নাসা

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে মেঘের মতো অদ্ভুত কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরে থাকা উচ্চ উচ্চতার এই মেঘের মতো কাঠামোর তথ্য জানতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ থেকে রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরের রহস্য জানার চেষ্টা চলছে। স্পোরাডিক-ই ইলেক্ট্রোডাইনামিকস বা সিড নামের এই মিশনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কোয়াজালিন অ্যাটল থেকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহনকারী সাবঅরবিটাল মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। বিজ্ঞানীরা আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে তৈরি স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। এই কাঠামোর কারণে আয়নোস্ফিয়ারের উচ্চ স্তরে পৌঁছানোর আগে রেডিও সংকেত পৃথিবীতে প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে এলোমেলো সংকেত গ্রহণ করছে রেডিও রিসিভার।

নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে। এই স্তর চলমান ও এই অঞ্চলের কারণে বিভিন্ন ব্যাঘাত অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। নাসার মিশন কর্মকর্তা আরোহ বরজাতিয়া বলেন, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর খালি চোখে দেখা যায় না। শুধু রাডারের মাধ্যমে প্যাঁচানো ও ফোলা মেঘের মতো দেখা যায়। আবার কিছু স্তর মেঘলা আকাশের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যাকে আমরা কম্বলটিং স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর বলি। এই স্তর যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করে।

আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর। এটি প্রায় ৬০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকা চার্জযুক্ত কণা বা আয়ন দ্বারা গঠিত। এই আয়নের মধ্যে কিছু আসে উল্কা থেকে। আয়নিত লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের চিহ্ন আছে এই স্তরে। এসব ভারী ধাতু আয়নোস্ফিয়ারের সাধারণ কণার তুলনায় বেশি থাকে। মাঝে মাঝে এসব কণা একসঙ্গে জমাট বেঁধে ঘন গুচ্ছ তৈরি করে, যা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশের স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর তৈরির কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন। তবে পৃথিবীর বিষুবরেখার কাছাকাছি থাকা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ