রাশিয়ার নাভাসিবিয়েরস্ক সমুদ্র বন্দরে শিপমেন্টের জন্য পৌঁছেছে ৫০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ব্রীজ ক্রেন। এই ক্রেনটি পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের লোডিং ও আনলোডিং কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে। এছাড়াও আরো ১৬ টন ও ৩২ টন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ক্রেনও একইসঙ্গে শিপমেন্ট করা হচ্ছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে রাশিয়া।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রসাটম প্রকৌশল শাখা এবং ভিপিও যায়েস এর বিশেষজ্ঞরা শিপমেন্টের পূর্বে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগুলোর সার্বিক মান এবং নিরাপত্তা মান নিরীক্ষণ করেছেন।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ১ লাখ টাকা জরিমানা

আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিডে অগ্নিকাণ্ড, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গোটা এলাকা

রসাটমের বিদ্যুৎ শক্তি শাখার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এতমএনার্গোরিমন্ট উপমহাপরিচালক ভ্লাদিমির পাপো বলেন, ‘‘আমরা উচ্চমান এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রূপপুর প্রকল্পের জন্য ইকুইপমেন্ট সরবরাহের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রকল্পগুলোতে জটিল কার্য সম্পাদনে আমাদের সক্ষমতারই পরিচয় বহন করে।’’

পাবনার রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকল্পটিতে প্রতিটি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পাওয়ার ইউনিট থাকছে।

ঢাকা/শাহীন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ