Samakal:
2025-11-03@00:07:53 GMT

ফের এক হলেন অপূর্ব-নীহা

Published: 18th, March 2025 GMT

ফের এক হলেন অপূর্ব-নীহা

গেল ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ পায় জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজনীন নাহার নীহা অভিনীত নাটক ‘মন দুয়ারী’। জাকারিয়া সৌখিনের রচনা এবং পরিচালনায় নাটকটি তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পায়। এ পর্যন্ত নাটকটি ২০ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করেছে। এবার ঈদেও ফিরছে ‘মন-দুয়ারী’ টিম। ‘মেঘবালিকা’ নামে একটি নাটকে ঈদে ফের দেখা যাবে অপূর্ব ও নীহা জুটিকে। এটিও রচনা এবং পরিচালনায় আছেন জাকারিয়া সৌখিন।

‘মেঘবালিকা’ নাটকেও দেখা যাবে পারিবারিক মূল্যবোধ এবং প্রেমবিষয়ক গল্প। এবারের গল্পে দেখা যাবে আবিদ (অপূর্ব) নায়লার (নীহা) থেকে অনেক সিনিয়র। তবুও নায়লা আবিদের প্রেমে পড়ে যায়। সে এক গভীর পাগলামি প্রেম। ইন্টারমিডিয়েটে পড়া একজন বালিকার প্রেম যতটা তীব্র হতে পারে– ঠিক ততটাই।

সম্পর্কে আবিদ নায়লার বড় ভাইয়ের বন্ধু। আর সেই বন্ধুত্ব খুবই গাঢ়। এতটাই গাঢ় যে, আবিদকে নায়লার ভাই এবং বাবা-মা নিজেদের পরিবারের সদস্য মনে করে। আর তাই নায়লার প্রেমের পাগলামি একদিন পারিবারিক সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলে দেয়।

‘মন-দুয়ারী’ এবং ‘মেঘবালিকা’ পাশাপাশি সময়ে নির্মিত হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। কারণ ‘মন-দুয়ারী’র পর চমক হিসেবে ‘মেঘবালিকা’র ঘোষণা দেওয়ার প্ল্যান ছিল আগে থেকেই।

‘মেঘবালিকা’ নাটক সম্পর্কে জাকারিয়া সৌখিন বলেন, ‘এবারের গল্পটি মূলত প্রেমের। ছটফটানি টাইপের প্রেম। কিছুটা অস্থির, কিছুটা ইমোশনাল আর কিছুটা যন্ত্রণার। আমাদের চার পাশে এমন সম্পর্ক অনেক আছে। তাই গল্পটি বাস্তবতার সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে।’ 

‘মেঘবালিকা’ নাটক নিয়ে অপূর্ব বলেন, ‘এটা সুন্দর একটি নাটক। সৌখিন বরাবরের মতোই খুব যত্ন নিয়ে নাটকটি নির্মাণ করেছে। আর নীহা ভালো অভিনয় করেছে। এখন ওর যে টাইপের ক্যারেক্টারে অভিনয় করা দরকার, এ নাটকে ঠিক সেই টাইপের ক্যারেক্টার পেয়েছে। সব মিলিয়ে দারুণ একটি নাটক। ঈদের আয়োজনে এমন নাটকই দেখতে চায় দর্শক। আমার বিশ্বাস, সবাই এক বসাতে নাটকটি তৃপ্তি নিয়ে দেখবে।’

নাজনীন নীহা ‘মেঘবালিকা’ নিয়ে বলেন, ‘আসলে আমি ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আছি। এ সময়ে অপূর্ব ভাইয়ের সঙ্গে পরপর দুটি নাটকে অভিনয় করতে পেরেছি– এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। মেঘবালিকা নাটক নিয়ে আমি খুবই এক্সাইটেড। আমার বিশ্বাস, মন-দুয়ারীর মতো মেঘবালিকাও দর্শকের মন জয় করে নিবে।’

‘মেঘবালিকা’ নাটকে আরও অভিনয় করেছে সমাপ্তি মাশুক, সমু চৌধুরী, মিলি বাশারসহ আরও অনেকে। ‘মেঘবালিকা’ অপূর্ব-নীহা-সৌখিন ত্রয়ীর দ্বিতীয় নাটক। গেল ভ্যালেন্টাইনে তাদের ‘মন-দুয়ারী’ তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। নাটকটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও মাত্র ৪ দিনে কোটি দর্শক দেখে ফেলেছিল। 

ঈদে নাটকটি  ধূপছায়া এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে বলে জানান নির্মাতা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন জন ন ন হ র ন হ মন দ য় র ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ