গেল ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ পায় জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজনীন নাহার নীহা অভিনীত নাটক ‘মন দুয়ারী’। জাকারিয়া সৌখিনের রচনা এবং পরিচালনায় নাটকটি তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পায়। এ পর্যন্ত নাটকটি ২০ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করেছে। এবার ঈদেও ফিরছে ‘মন-দুয়ারী’ টিম। ‘মেঘবালিকা’ নামে একটি নাটকে ঈদে ফের দেখা যাবে অপূর্ব ও নীহা জুটিকে। এটিও রচনা এবং পরিচালনায় আছেন জাকারিয়া সৌখিন।
‘মেঘবালিকা’ নাটকেও দেখা যাবে পারিবারিক মূল্যবোধ এবং প্রেমবিষয়ক গল্প। এবারের গল্পে দেখা যাবে আবিদ (অপূর্ব) নায়লার (নীহা) থেকে অনেক সিনিয়র। তবুও নায়লা আবিদের প্রেমে পড়ে যায়। সে এক গভীর পাগলামি প্রেম। ইন্টারমিডিয়েটে পড়া একজন বালিকার প্রেম যতটা তীব্র হতে পারে– ঠিক ততটাই।
সম্পর্কে আবিদ নায়লার বড় ভাইয়ের বন্ধু। আর সেই বন্ধুত্ব খুবই গাঢ়। এতটাই গাঢ় যে, আবিদকে নায়লার ভাই এবং বাবা-মা নিজেদের পরিবারের সদস্য মনে করে। আর তাই নায়লার প্রেমের পাগলামি একদিন পারিবারিক সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলে দেয়।
‘মন-দুয়ারী’ এবং ‘মেঘবালিকা’ পাশাপাশি সময়ে নির্মিত হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। কারণ ‘মন-দুয়ারী’র পর চমক হিসেবে ‘মেঘবালিকা’র ঘোষণা দেওয়ার প্ল্যান ছিল আগে থেকেই।
‘মেঘবালিকা’ নাটক সম্পর্কে জাকারিয়া সৌখিন বলেন, ‘এবারের গল্পটি মূলত প্রেমের। ছটফটানি টাইপের প্রেম। কিছুটা অস্থির, কিছুটা ইমোশনাল আর কিছুটা যন্ত্রণার। আমাদের চার পাশে এমন সম্পর্ক অনেক আছে। তাই গল্পটি বাস্তবতার সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে।’
‘মেঘবালিকা’ নাটক নিয়ে অপূর্ব বলেন, ‘এটা সুন্দর একটি নাটক। সৌখিন বরাবরের মতোই খুব যত্ন নিয়ে নাটকটি নির্মাণ করেছে। আর নীহা ভালো অভিনয় করেছে। এখন ওর যে টাইপের ক্যারেক্টারে অভিনয় করা দরকার, এ নাটকে ঠিক সেই টাইপের ক্যারেক্টার পেয়েছে। সব মিলিয়ে দারুণ একটি নাটক। ঈদের আয়োজনে এমন নাটকই দেখতে চায় দর্শক। আমার বিশ্বাস, সবাই এক বসাতে নাটকটি তৃপ্তি নিয়ে দেখবে।’
নাজনীন নীহা ‘মেঘবালিকা’ নিয়ে বলেন, ‘আসলে আমি ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আছি। এ সময়ে অপূর্ব ভাইয়ের সঙ্গে পরপর দুটি নাটকে অভিনয় করতে পেরেছি– এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। মেঘবালিকা নাটক নিয়ে আমি খুবই এক্সাইটেড। আমার বিশ্বাস, মন-দুয়ারীর মতো মেঘবালিকাও দর্শকের মন জয় করে নিবে।’
‘মেঘবালিকা’ নাটকে আরও অভিনয় করেছে সমাপ্তি মাশুক, সমু চৌধুরী, মিলি বাশারসহ আরও অনেকে। ‘মেঘবালিকা’ অপূর্ব-নীহা-সৌখিন ত্রয়ীর দ্বিতীয় নাটক। গেল ভ্যালেন্টাইনে তাদের ‘মন-দুয়ারী’ তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। নাটকটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও মাত্র ৪ দিনে কোটি দর্শক দেখে ফেলেছিল।
ঈদে নাটকটি ধূপছায়া এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে বলে জানান নির্মাতা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন জন ন ন হ র ন হ মন দ য় র ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
নায়িকা হতে আসিনি, তবে...
গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।
‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।
আইমন শিমলা