নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাইনাদি স্কুল রোড তালতলা ক্লাব এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসার দখল নেয়ার পায়তারাকে কেন্দ্র করে থানায় অভিযোগ দেয়ায় পুলিশের উপস্থিতিতে মারধর করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়া এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে দুই পক্ষকে সমঝোতা প্রস্তাবে আসার কথা বলা হয় বলে জানায় ভুক্তভোগী অভিযোগকারী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার (১৫ মার্চ) তালতলা ক্লাব এলাকায়। 

থানায় অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ইউনিভার্সেল মাল্টিমিডিয়া সেন্টার নামীয় ইন্টারনেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক সায়হান। তিনি বর্তমানে ওমরা হজ্জে গিয়ে সৌদিতে অবস্থান করছেন।

আর এ সুযোগে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদের অনুসারী গাজী মনিরের অনুসারী গাজী আতাউর রহমান বাবুলের ছেলে সোহান (৩০) সহ তার সহযোগীরা মিলে সায়হানের মালিকানাধীন ইন্টারনেট ব্যবসার জোরপূর্বক দখলে নিতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মিজমিজি ক্লাব সংলগ্ন ইন্টারনেটের ৪ টি লাইন কেটে দেয় এবং প্রায় ১০০  মিটার ফাইভার তার কেটে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সায়হানের স্ত্রী রাবেয়া বশরী খবর পেয়ে বাঁধা দিতে গেলে সোহান সহ তার সহযোগীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে নিষেধ করায় তারা মারধর করার জন্য উদ্যত হয়।

এ সময় রাবেয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাধীরা সায়হান দেশে এসে নেট লাইন সংযোগ দিলে এবং উপরোক্ত ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে খুন করে ফেলার হুমকি প্রদান করে। 

পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই বজলুর রহমান সহ পুলিশ নিয়ে গত ১৫ মার্চ শনিবার দুপুরে ফাইভার তার উদ্ধারে বিবাদীর বাড়িতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নূর ইসলামের মেয়ে মিনু (৪৫), ফারুক (৪০), বিপ্লব (৩৮), বাবুল (৫৫), সোহান (৩০), স্বপন (৩৩) থানায় অভিযোগকারী সায়হানের স্ত্রী  রাবেয়া বশরী সহ শান্ত (২৫), শাকিব (২২), হীরা (২৫), নিলয় (১৮) ওপর এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। মারধরের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ নিতে গেলে নিলয়ের মোবাইল কেড়ে নেয় সোহান।

এসময় মারধরের ঘটনায়  পুলিশ সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় জনসাধারাণ। 

এবিষয়ে কথা হলে অভিযোগকারী রাবেয়া বশরী জানান, আমার স্বামী ওমরা হজ্জে সৌদি থাকায় এ সুযোগে জোরপূর্বক তার ইন্টারনেট ব্যবসা দখলে নিতে চাচ্ছে। এ ঘটনায় আমাদের ওপর হামলা করে আহত করে উল্টো গাজী আতাউর বাবুল তারা মিথ্যে হামলা ভাঙচুর চুরির নাটক সাজিয়ে থানায় অভিযোগ করেছে। আমি এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও সুবিচার দাবি করছি। 

এদিকে এ বিষয়ে কথা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই বজলুর রহমান জানান, আমি সেদিন ঘটনাস্থলে ছিলাম। দুই পক্ষের মাঝে উচ্চবাচ্য হয়েছে কিন্তু মারামারির ঘটনা ঘটেনি। দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। এবিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন এ ঘটন য় ম রধর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে বসতঘরে ঝুলছিল মা-মেয়ের লাশ

নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুজন হলেন রাবেয়া বসরী (২৩) ও তাঁর চার বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম। উদ্ধারের পর লাশ দুটি সুধারাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাবেয়া বসরীর স্বামী আবদুর রহমান ওরফে রুবেল (৩৮) পেশায় কসাই। রাবেয়া তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রাবেয়াকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।

কাদিরহানিফ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রহিম নিহত রাবেয়ার স্বামী আবদুর রহমানের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে আবদুর রহমান তাঁর ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর মেয়ে জান্নাতুল ও স্ত্রী রাবেয়া বসরীর লাশ ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে। তিনি চিৎকার দিলে পাশের ঘর থেকে তাঁর ভাইসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে তিনিও (ইউপি) ওই বাড়িতে যান।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লন্ডন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি মা ও মেয়ের লাশ পৃথক দুটি রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। স্বামীর দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি দেড়টার দিকে ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের কাপড়চোপড় এলোমেলো, কক্ষের ভেতর তাঁর মেয়ে ও স্ত্রীর লাশ ঝুলছে। তখন চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।

এসআই লন্ডন চৌধুরী জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য স্বামী আবদুর রহমানকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে মা-মেয়ের মৃত্যু হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ৩ বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ২
  • গোপালগঞ্জে ৬ যানবাহনের সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২
  • রেললাইনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন মুঠোফোনে, ট্রেনে কাটা পড়ে চা–শ্রমিকের মৃত্যু
  • গোপালগঞ্জে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
  • নোয়াখালীতে বসতঘরে ঝুলছিল মা-মেয়ের লাশ