কয়েকদিন পরেই ঈদ। এদিকে তাপমাত্রা দিনে দিনে বাড়ছে। গরমে চুল আঠালো হয়ে যায়। এই সময় চুল ভালো রাখতে হলে বাহ্যিক যত্নও প্রয়োজন। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন নিতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারেন।

নারকেল তেল: প্রোটিন, খনিজ পদার্থ এবং প্রয়োজনীয় চর্বির একটি শক্তিশালী উৎস হিসেবে বিবেচিত নারকেল তেল। এই তেল চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে, চুল ভাঙা কমায় এবং চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নারকেল তেলে আছে পটাশিয়াম, যা চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি আপনার চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে পারে এবং মজবুত করতে সাহায্য করতে পারেন। নিয়মিত নারকেল তেল ব্যবহারে চুলে চকচকে ভাব ফুটে ওঠে। নারকেল তেল চুলকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে।এ ছাড়াও, এই তেল প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় চর্বিতে ভরপুর, যা চুল পড়া রোধে কার্যকর। 

গ্রিন টি: চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী গ্রিন টি। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চুল বৃদ্ধিতে এবং চুল পড়া কমাতে সহায়তা করতে পারে। আপনাকে যা করতে হবে তাহলো ২-৩টি টি ব্যাগ ২ কাপ পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ ঠান্ডা হয়ে গেলে, এটি আপনার চুল এবং মাথার ত্বকে লাগিয়ে নেবেন। এক বা দুই ঘণ্টা পরে, ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল সুস্থ আর ঝলমলে দেখাবে। 

আরো পড়ুন:

মেয়াদোত্তীর্ণ সাবান ব্যবহার করলে যেসব ক্ষতি

কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার জাপানি কৌশল ‘গেইদো’

আমলকি: চুলের জন্য আমলকি বেশ কার্যকরী। সেক্ষেত্রে আমলকি পাউডার আর টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণটি ভালো ভাবে মাথার ত্বকে লাগিয়ে মিনিট ১৫ অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে এলে ধুয়ে ফেলুন।

সূত্র: এনডিটিভি অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ