আগামী ২০ এপ্রিল খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইস্টার সানডে। ওই দিন ২০২৫ সালের এসএসসির গণিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে সমালোচনার মুখে তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, গণিত পরীক্ষা এক দিন পিছিয়ে হবে ২১ এপ্রিল।
গতকাল বুধবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় এসএসসির সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। সেবার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়। প্রথম প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী, ১৩ এপ্রিল এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে ওই দিন বৈসাবি উৎসব থাকায় রুটিন পরিবর্তনের দাবি জানান পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতারা। তাদের দাবির মুখে ১৩ মে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের মোর্চা বাংলাদেশ ‘আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি’। তাতে ১০ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলার কথা ছিল। দুই দফা সংশোধনীর পর সূচি অনুযায়ী, তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে।
সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ১০ এপ্রিল বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে। ১৫ মে থেকে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা, চলবে ২২ মে পর্যন্ত।
চলতি বছর সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসছে ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ এবং কারিগরি বোর্ডে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসএসস র পর ক ষ পর ক ষ র ত পর ক ষ সময়স চ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকার-বিএনপি সমঝোতা অনিশ্চয়তা দূর করবে, আশা ইসলামী আন্দোলনের
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশের রাজনীতিতে বিদ্যমান উত্তেজনা কেটে যাবে, অনিশ্চয়তা দূর হবে এবং বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরি হবে বলে আশা করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তবে দুজনের বৈঠকের পরে দেওয়া যৌথ বিবৃতির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে দলটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান দলের এ অবস্থান তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা কাজ করছিল। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দল ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করায় রাজনীতিতে একধরনের চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়।
ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, ‘লন্ডনের বৈঠকে তারেক রহমান ডিসেম্বর থেকে সরে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টাও শর্তসাপেক্ষে তা বিবেচনার কথা বলেছেন। নিজস্ব অবস্থানকে যৌক্তিক কারণে পুনর্বিবেচনা করার এ ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। উভয় নেতাকে এ জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘সংস্কার, বিচার ও জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে নীতিগত সমর্থন পাওয়া গেছে আজকের বৈঠক থেকে। এটা স্বৈরতন্ত্রমুক্ত আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথকে মসৃণ করবে।’
তবে বৈঠকের পরে দেওয়া যৌথ বিবৃতির বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। তারেক রহমান একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান মাথায় রেখেও এ কথা সত্য যে তারেক রহমান দেশের রাজনীতির একক প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাঁদের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হলেও আক্ষরিক অর্থে এটা দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে একজন রাজনৈতিক নেতার সংলাপ। এই সংলাপের পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের বারবার “যৌথ বিবৃতি” বলা বিস্ময়কর। একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রের যৌথ বিবৃতি প্রদান শোভনীয় নয়। একই সঙ্গে এককভাবে বিএনপির মতামতের ভিত্তিতে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়াও শোভনীয় নয়।’