শুকর ছানা নিয়ে সংঘর্ষ, বিএনপির ২ নেতা আহত
Published: 20th, March 2025 GMT
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শুকরের ছানা নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির দুই নেতা আহত হয়েছে। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে উপজেলা অজূর্না ইউনিয়নের কুঠিবয়ড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত গাবসারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সফিকুল ইসলাম ফকির জানান, কয়েকদিন আগে শতাধিক শুকর নিয়ে উপজেলার যমুনা নদী সংলগ্ন কুঠিবয়ড়া এলাকায় যাওয়ার পথে একটি শুকর দলছুট হয়ে কুঠিবয়ড়া এলাকার আলমগীর মোল্লার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। শুকরটি সেখানে একাধিক বাচ্চা প্রসব করে। পরে শুকর লালন পালনকারীরা বাড়ির মালিককে সপ্তাহখানেক শুকরের বাচ্চার সংস্পর্শে না যেতে অনুরোধ জানিয়ে চলে যায়। তবে কিছু দিন পর ওই পরিবারের আশিক মোল্ল্যা নামের এক ব্যক্তি শুকরের ছানাগুলো বিক্রি করে দেয়।
এদিকে, শুকর লালন পালনকারীরা ওই বাড়ি গিয়ে শুকর না পেয়ে স্থানীয়দের কাছে বিচার প্রার্থনা করে। পরে বিষয়টি নিয়ে আশিক মোল্লা ও লিয়াকত মোল্লার সাথে সফিকুলের তর্কাতর্কি হয়। এরই এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এতে বিএনপি নেতা সফিকুল ইসলাম ফকির ও তোতা মোল্লা আহত হন। পরে তাদের দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবাব সকালে তারা বাড়িতে চলে যান।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/কাওছার/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক